Maharashtra Political Crisis: বিদ্রোহী নই, আমরাই শিব সৈনিক, গুয়াহাটি ছাড়ার আগে সরব একনাথ শিন্ডে
উদ্ধব বিরোধী গোষ্ঠীর আইনজীবী এন কে কৌল সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন, মামলার শুনানির সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট। তার আগেই বিকেলে গুয়াহাটি ছাড়লেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে ও তাঁর অনুগামীরা। এদিন একদিকে উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যপালের কাছে গেলেন আস্থা ভোট ঠেকাতে। অন্যদিকে, শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা গুয়াহাটি থেকে যাত্রা করলেন গোয়ার পথে।
এদিন গুয়াহাটি ছাড়ার আগে সংবাদসংস্থাকে একনাথ শিন্ডে বলেন,আমরা বিদ্রোহী নই। আমরা শিব সৈনিক। বালাসাহেব ঠাকরের মতাদর্শ আমরাই বয়ে নিয়ে চলেছি। রাজ্যের উন্নয়ন ও হিন্দুত্বের নীতি নিয়েই চলব আমরা।
বিদ্রোহীদের মধ্যে ১৬ বিধায়কের বিধায়কপদ খারিজের নোটিস দিয়েছেন স্পিকার। সেই নোটিসের উত্তর এখনও আসেনি। তাই রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়ারির আস্থা ভোটের নিদান বেআইনি। এমন দাবি নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে উদ্ধব ঠাকরে শিবির। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি যে আস্থা ভোট হলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের জেতার সম্ভাবনা প্রায় শুন্য। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করলেন উদ্ধব ঠাকরে। সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টে হওয়া মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সময় চাইতে পারেন।
এখন প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে হওয়া মামলার সঙ্গে মহারাষ্ট্র বিধানসভার আস্থা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। এনিয়ে উদ্ধব বিরোধী গোষ্ঠীর আইনজীবী এন কে কৌল সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন, মামলার শুনানির সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
সাধারণত দেখা গিয়েছে, বিধায়কদের বিধায়কপদ খারিজের মামলা আটকে থাকার ক্ষেত্রে আস্থা ভোট সাধারণত আটকে থাকে না। আগামিকাল যদি আস্থা ভোট হয় তাহলে সরকার টিকিয়ে রাখার মতো কোনও সংখ্যা উদ্ধবের হাতে নেই। তবে উদ্ধব ক্যাম্পের আরও একটি যুক্তি হল, বর্তমানে জেলে রয়েছেন জেটের বিধায়ক অনিল দেশমুখ ও নবাব মালিক। তারাও ভোট দিতে পারেন। কারণ তারাও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন, ১৬ জন বিধায়ক যদি ভোট দেওয়ার অধিকার পান তাহলে তাঁরা কেন পাবেন না। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী করে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ! দুর্নীতির অভিযোগ এবার কলেজ সার্ভিসে