ওয়েব ডেস্ক: নাথুরাম গডসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছিল গান্ধীজির। সুপ্রিম কোর্টে হওয়া একটি মামলায় সাফ জানিয়ে দিলেন আদালত বান্ধব (অ্যামিকাস কিউরি) অমরেন্দ্র শ্যারন। ফলে দেশের কোনও কোনও মহল থেকে গডসেকে ‌যেভাবে দায়মুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছিল এবার তা বড় ধাক্কা খেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গান্ধীজির মৃত্যুর সঙ্গে শুধুমাত্র নাথুরাম গডসে জড়িত ছিল না। বরং এক রহসময় ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল, এমনটাই দাবি করেছিলেন পঙ্কজ ফড়ণবীশ নামে এক আইনজীবী। এনিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেন। তাঁর আরও দাবি, গান্ধীজির দেহে ৩টি নয় ৪টি বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। ওই চতুর্থ গুলিতেই গান্ধীজির মৃত্যু হয়। তাই গান্ধী মৃত্যুর পুনর্তদন্ত হওয়া উচিত।


আরও পড়ুন-অ্যাসেজে 'মৃত্যু' ইংলিশ ক্রিকেটের, ছাই নিয়ে বিজয় উল্লাস অস্ট্রেলিয়ার


সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে আরও বলা হয়, গান্ধীহত্যার ‌যে তদন্ত হয়েছিল তাতে বড়সড় বিষয় আড়াল করা হয়েছিল। ওই তদন্তে গান্ধী হত্যার দায় মারাঠিদের উপরে ও বিশেষ করে বীর সাভারকরের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এর পেছনে গভীর ষড়‌যন্ত্র রয়েছে। তা উন্মোচন করা প্রয়োজন বলেও দাবি করা হয়।


ফড়ণবীশের এই দাবির স্বপক্ষে কোনও ‌যুক্তি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিশিষ্ট আইনজীবী অমরেন্দ্র শ্যারনকে নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শ্যারন সুপ্রিম কোর্টকে জানান, গান্ধী হত্যার সঙ্গে নাথুরাম গডসে ছাড়া আর কোনও হামলাকারীর ‌যোগা‌যোগ নেই। কোনও রহস্যময় ব্যক্তির উপস্থিতির কোনও প্রমাণ নেই। যে বুলটি গান্ধীজির দেহ ফুঁড়ে গিয়েছিল, ‌যে পিস্তল থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছিল, ‌গান্ধী হত্যার জন্য ‌যে ষড়‌যন্ত্র করা হয়েছিল তা সবই চিহ্নিত করা গিয়েছে। ফলে এনিয়ে কোনও পুনর্তদন্তের প্রয়োজনই নেই।