নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির কুর্সি কার দখলে? জানা যাবে কয়েকদিনেই। কিন্তু মজনু কা টিলার মনজুড়ে এখন শুধুই নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। দিল্লির মজনু কি টিলা বস্তির ১৪০ ঘর পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থী পরিবার।শরণার্থী পরিবারের সকলেরই সমর্থনই বিজেপির দিকে। কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনেছে মোদী সরকার। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা পাবেন ভারতের নাগরিকত্ব।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লির মজনু কী টিলা। ঘুপচি গলির ভেতরে গায়ে গায়ে টালি-অ্যাসবেস্টরের বাড়ি। মজনু কি টিলা বস্তি অঞ্চলে ১৪০ ঘর হিন্দু পাক শরণার্থীর বাস। এই ১৪০টি পরিবারই পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু পরিবার। দিল্লির মাটিতে প্রায় এক দশকের বসবাস। এখনও নাগরিকত্ব মেলেনে।  ভোটার কার্ডও অধরা। ইলেকট্রিক নেই। অভিযোগ বিস্তর।বিজেপির ভোট যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার এবার  হিন্দু উদ্বাস্তু পরিবারগুলিই। নাগরিকত্বের স্বীকৃতির আশ্বাসে গলির সবার মুখে মুখেই এখন বিজেপির স্লোগান।


দিল্লির ভোট প্রচারের কেজরি সরকারের হাতিয়ার উন্নয়ন। বিজেপির হাতিয়ার CAA-NRC।  হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সাফল্যকেই প্রচারে এনেছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা কেজরি বধে মেরুকরণের রাজনীতিকেই ব্রহ্মাস্ত্র করেছে বিজেপি । উসকে দিয়েছে বঞ্চনার যন্ত্রণা। সেখানকার এক বাসিন্দা বলেন,''আমরা চাই বিজেপি জিতুক। নরেন্দ্র মোদী জিতুন। উনি শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী। দেশকে উন্নয়ন করতে পারবেন আমিই। '' এক মহিলার কথায়,''এখানে শান্তিতে আছি। ভগবান করুক মোদিজির দল জিতুক।'' আর একজনের আবার ক্ষোভ, জল আছে। তবে বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। 



বছর দশেক আগেই পাকিস্তান ছেড়ে দিল্লিতে চলে আসে এই ১৪০ পরিবার। তারপর থেকেই চলছে অস্তিত্বের লড়াই। পরিচয় খুঁজে নেওয়ার আন্দোলন। যার থেকে মিলবে ভোটাধিকার তাদেরই ভোট দেবেন এরা। এই স্লোগনেই আপাতত এককাট্টা মজনু কী টিলার ঘুপচি গলি। সেই লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েই রয়েছে গেরুয়া শিবির।


আরও পড়ুন- আসছে করোনাভাইরাসের টিকা! বড় ধাপ পার করলেন ভারতীয় গবেষক