করুণানিধির শেষকৃত্য নিয়ে তামিল সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মমতা ফোন করলেন মোদীকে
“মেরিন সৈকতে শেষকৃত্য করতে দেওয়া হবে না, তামিল সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি অখুশি। মুখ্যমন্ত্রীকে (পালানিস্বামী) ফোন করেছিলাম, কিন্তু তাঁকে পাওয়া যানি। এরপর প্রধানমন্ত্রীকেও ফোন করেছি”।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করুণানিধির শেষকৃত্য নিয়ে শাসক-বিরোধীর মধ্যে যে ‘নাটক’ হল, তাতে মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মেরিনা সৈকতে কালাইনারের শেষকৃত্য না করতে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত তামিলনাড়ু সরকার নিয়েছে, তাতে অখুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের রায়ে যদিও মেরিনার লড়াইয়ে জয় পেয়েছে করুণানিধির দলই। তার আগে অবশ্য নিজে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর সঙ্গে কথা বলে রফা সূত্র বার করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ‘বঙ্গের দিদিমণি’। তবে পালানিস্বামী-কে ফোনে পাননি মমতা। উপায় না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ফোন করেন তিনি। তবে শেষমেশ মেরিন সমুদ্র সৈকতে থালাইভা করুণানিধির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা নিয়ে মোদী-মমতা ফোনালাপ হয়েছে কিনা, সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
‘আমার নেতা, আমি কি তোমাকে শেষবার বাবা বলে ডাকতে পারি’?
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করার কথা নিজেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ (বুধবার) এএনআই-কে তিনি বলেন, “মেরিনা সৈকতে শেষকৃত্য করতে দেওয়া হবে না, তামিল সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি অখুশি। মুখ্যমন্ত্রীকে (পালানিস্বামী) ফোন করেছিলাম, কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। এরপর প্রধানমন্ত্রীকেও ফোন করেছি”।
প্রসঙ্গত, করুণানিধির শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কাল দুপুরেই চেন্নাই রওনা হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রশাসনিক কাজকর্ম মিটিয়ে নবান্ন থেকে সোজা দমদম বিমানবন্দর, সেখান থেকে চেন্নাই উড়ে যান তিনি। কালই করুণানিধি পুত্র স্ট্যালিন-সহ তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা।
গতকাল সন্ধ্যা ৬.১০ নাগাদ কাভেরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় করুণানিধি মৃত্যুর খবর। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে ডিএমকে প্রধানের পরলোক গমনের কথা জানান দলের সভাপতি তথা করুণা-পুত্র স্ট্যালিন। এই খবর পাওয়া মাত্রই টুইটে করুণা-কন্যা কানিমোঝি, ছেলে স্ট্যালিনকে সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মরণের পরও অব্যাহত জয়ের ধারা : কালাইনারের সমাধি মেরিনা সৈকতেই
বুধবার রাজাজি হলে বর্ষীয়ান নেতা দক্ষিণামূর্তির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘও নিবেদন করেছেন তিনি। তাঁর পরে এম করুণানিধির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বামেদের তরফে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন প্রকাশ কারাত এবং সীতারাম ইয়েচুরি। সূত্রের খবর, মেরিনা সৈকতে করুণানিধির শেষকৃত্যে থাকবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।