নিজস্ব প্রতিবেদন: আরবিআই নোট বাতিলের পরিসংখ্যান পেশের পর গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করিয়ে দিলেন, '২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পরই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিমুদ্রাকরণের পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরোধী। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কৃষক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও কঠোর পরিশ্রমী মধ্যবিত্তরা সমস্যায় পড়বেন'।      



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৭-১৮ সালের আরবিআই বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯৯.৩ শতাংশ টাকাই ফেরত এসেছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন, কোথায় গেল কালো টাকা? কালো টাকার মালিকরা যাতে টাকা বদল করে নিতে পারেন, সেজন্যই কি এই প্রকল্প আনা হয়েছিল? মমতার কথায়,'নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত লজ্জাজনক ও দুর্ভাগ্যপূর্ণ'।         



২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন আর্থিক ব্যবস্থায় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট মিলিয়ে অর্থমূল্য ছিল ১৫.৪১ লক্ষ কোটি। তার মধ্যে ১৫.৩১ লক্ষ কোটি অর্থমূল্যের নোটই ফেরত এসেছে। অর্থাত্ ১০,৭২০ কোটি অর্থমূল্যের নোট ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে চলে গিয়েছে। বস্তুত, কেন্দ্রীয় সরকার আশা করেছিল, কালো টাকা আর অর্থ ব্যবস্থায় ফিরবে না। তবে নিয়মের ফাঁকফোকর দিয়ে কালো টাকা যে বদল হয়ে গিয়েছে, তা আরবিআইয়ের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।     


.নোট বাতিলের পর নতুন নোট ছাপাতে বিশাল টাকা খরচ হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। পুরনো নোটের জায়গায় নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়। বিমুদ্রাকরণের পর ২০১৬-১৭ সালে নতুন ৫০০, ২০০০ টাকা ও অন্যান্য অঙ্কের নোট ছাপাতে ৭,৯৬৫ কোটি টাকা খরচ করেছে আরবিআই। তার আগের অর্থবর্ষে খরচ হয়েছিল ৩,৪২১ কোটি টাকা। অর্থাত্ নোট বাতিলের পর দ্বিগুণ খরচ করেছে আরবিআই। ২০১৭-১৮ (জুলাই,২০১৭-জুন,২০১৮) নোট ছাপাতে খরচ পড়েছে ৪,৯১২ কোটি টাকা। 


জাল নোট, কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিমুদ্রাকরণকে হাতিয়ার করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, নোট বাতিলের পর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার জাল নোটের সনাক্তকরণ যথাক্রমে ৫৯.৭ শতাংশ ও ৫৯.৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে ১০০ টাকার জাল নোটে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। বিমুদ্রাকরণের পর ৫০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১৫৪.৩ শতাংশ।


আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছে যথাক্রমে ৯,৮৯২ ও ১৭,৯২৯টি। গত অর্থবর্ষে তা ছিল ১৯৯ ও ৬৩৮। অর্থাত্ পাঁচশো ও দুহাজারির জাল নোটের সংখ্যা বাড়ছে।


আরও পড়ুন- বন্যাবিধ্বস্ত কেরলে ১০ দিনে ৫০০ কোটির মদ বিক্রি!