নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল বিজেপি। দলের নেতা জগদম্বিকা পাল ও গিরিরাজ সিং তাঁকে একপ্রকার দেশদ্রোহী ও নৈরাজ্যবাদী বলে নিশানা করলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিল্লি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন অসমের নাগরিকপঞ্জ দেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে। গৃহ‌যুদ্ধের সৃষ্টি করবে। এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেত্রী। তিনি আরও বলেন, ভোটে জেতার জন্য এসব করা হচ্ছে। কাল ‌যারা শাসকদলকে ভোট দিয়েছেন তারা আজ দেশের নাগরিক নন! নাম, পদবী দেখে বেছে বাদ দেওয়া হচ্ছে। অসম ‌যদি বলে বাঙালিদের থাকতে দেব না, দক্ষিণভারত ‌যদি বলে বিহারিদের থাকতে দেব না তাহলে চলবে না।


আরও পড়ুন-দেশে চালু ২৭৭টি ভুয়ো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তৃতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ!


মমতার গৃহ‌যুদ্ধের অভি‌যোগেই তেতে উঠেছে বিজেপি শিবির। বুধবার বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পাল বলেন, সাধারণ কোনও লোক ‌যদি এই ধরনের কথা বলতো তাহলে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা হত। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওই মামলা হবে না কেন!


জগদম্বিকা পাল আরও বলেন, মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় শুধু নাগরিকপঞ্জীরই বিরোধিতা করছে না বরং বলছেন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের এদেশে রাখা হলে গৃহ‌যুদ্ধ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এদেশে থাকলে গৃহ‌যুদ্ধ কেন হবে!


আরও পড়ুন-কীভাবে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফাঁদে গ্রাহকরা? তদন্তে ফাঁস 'মোডাস অপারেন্ডি'


অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নৈরাজ্যবাদী বলে উল্লেখ করেন। গৃহ‌যুদ্ধ-এর জিগির তোলার জন্য মমতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।


উল্লেখ্য, গতকাল মমতার ওই মন্তব্যের পরই সরব হন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মমতাকে নিশানা করে তিনি বলেন, মমতা ওই ধরনের কথা বলে সমাজকে ভাঙার চেষ্টা করছেন। বিজেপি সবসময়েই অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে। একমাত্র বিজেপি ও বিজু জনতা দল ছাড়া এনিয়ে কেউ কথা বলছে না। দেশের নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছু বড় নায় বিজেপির কাছে। বিরোধীদের স্পষ্ট করতে হবে বাঙলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে তাদের অবস্থান কী।