সুতপা সেন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিন রাজ্য জেতার পরও মহাজোটে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ধন্দ জিইয়ে রাখছেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সপা-বসপা জোট হতে পারে বলে জল্পনা। আর সেই জল্পনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ''এটা দারুণ ব্যাপার। সবারই স্থানীয় রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকে''। 


সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলেছে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পাটি। কংগ্রেসকে ছাড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন অখিলেশ ও মায়াবতী। সমসংখ্যক আসনে লড়াই করবে দুই দল। তিনটি আসন ছাড়া হবে রাষ্ট্রীয় লোকদলকে। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে এই প্রস্তাবিত জোট নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। কারণ তারা মহাজোটের শরিক হিসেবেই এতদিন বিবেচিত হয়েছিল। তবে বুয়া-ভতিজার এহেন সিদ্ধান্তে বিস্মিত নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ''এটা দারুণ ব্যাপার। সকলেরই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকে। কোথাও কংগ্রেস শক্তিশালী, কোথাও আবার আঞ্চলিক দলগুলি। তেমনভাবেই স্থানীয় রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়''।       


পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল বেরানোর পরই মমতা স্পষ্ট করেছিলেন, দিল্লিতে মহাজোট হলে ও রাজ্যে একাই লড়াই করবেন তিনি। সেই কথাই প্রতিধ্বনিত হল তাঁর এদিনের মন্তব্যে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়েও নিজের আগের অবস্থানই ধরে রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী। দিন কয়েক আগে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন ডিএমকে-র স্টালিন। বুধবার নবান্নে মমতা বলেন,''এটা সময় নয়। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে''।



দিন কয়েক আগেই দিল্লিতে মহাজোটের বৈঠক সেরে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে ছিলেন সনিয়া এবং রাহুলও। রাজনৈতিক মহলের মতে, তিনটি রাজ্যে কংগ্রেস জিতলেও রাহুলের নেতৃত্ব মানতে সমস্যা রয়েছে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। ইতিমধ্যেই সেটা স্পষ্টও করেছেন মায়াবতী। ফলে বিজেপি বিরোধী মহাজোট কতটা দানা বাঁধতে পারবে, তা নিয়ে তো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 


আরও পড়ুন- হরিয়ানায় গেরুয়া ঝড়, পাঁচটি পুরসভাতেই ক্লিনসুইপ বিজেপির