নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে কেজরিওয়াল-উপরাজ্যপাল সংঘাত মেটাকে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার উপরাজ্যপালের বাড়িতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের সাক্ষাতের অনুরোধ রাখেননি অনিল বৈজল। এরপরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ''রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকের ফাঁকে চা চক্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমস্যার সমাধানে অনুরোধ করব।''  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লেখেন,''দিল্লিতে সমস্যার সমাধানের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমিও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।''   



শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উপ-রাজ্যপালের সময় চান পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে সেই অনুরোধ রাখেননি অনিল বৈজল। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে টুইটারে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, ''মনে হয় না, উপরাজ্যপাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেই তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'' প্রসঙ্গত, আইএএস অফিসারদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের বাড়িতে ৭ দিন ধরে ধর্ণায় বসে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপ-মু্খমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন ও গোপাল রাই।



উপ-রাজ্যপালের অনুমতি না মেলায় কেজরিওয়ালের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রীরা। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''গণতন্ত্রে বিরোধী দলেরও মর্যাদা আছে। দিল্লি দেশের রাজধানী। ৪ মাস ধরে এখানে উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ৬ সেকেন্ডে সময় দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। ভুক্তভোগী হন সাধারণ মানুষই।'' 


আরও পড়ুন- দুঃসাহসিক অভিযান, সাগরদ্বীপের কাছে জ্বলন্ত ভেসেল নোঙর করল নৌসেনা