নিজস্ব প্রতিবেদন : গত একসপ্তাহ ধরে বিষাক্ত ধোঁয়াশার মধ্যে ঘুম ভাঙছে দিল্লির। নয়েডা, আনন্দ বিহার, দ্বারকা, পাঞ্জাবি বাগ এলাকায় বেলা বাড়লেও দৃশ্যমানতার উন্নতি হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। ইতিধ্যেই শহর ও শহরতলির একাধিক রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের। আহতের সংখ্যাও অনেক। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বদলে দূষণ নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। এবার সমস্যার সমাধান বাতলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এব্যাপারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লন্ডন যাওয়ার আগে মমতার দিল্লির দূষণ নিয়ে টুইট, ''দিল্লির দূষণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নই এর কারণ।'' এই বিষয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের মধ্যে চাপান-উতোর ভুলে হাতে হাত ধরে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মমতা লিখেছেন, ''কেন্দ্রের উচিত এব্যাপারে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা। শুধুমাত্র দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে দোষারোপ করে কিছু হবে না।'' মমতার দাবি, এটি জাতীয় বিপর্যয়। তাই এখনই দূষণরোধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে কেক কাটলেন বিলেতযাত্রী মমতা


ধোঁয়াশার কারণে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ব্যহত ট্রেন চলাচল। দৃশ্যমানতা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম থাকায় বিমান ওঠা-নামার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। বাইরে বেরলেই দূষণরোধী মুখোস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে মোডিক্যাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে।


 



সমস্যা মোকাবিলায় দিল্লি সরকার রাস্তায় গাড়ি চলাচলে আরও একবার জোড়-বিজোড় ফরমুলা প্রয়োগের কথা ঘোষণা করে। যদিও, পরে আদালতে তা ধাক্কা খায়।