নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও এনআরসি। ভোটের আগে বলা শুরু করে দিল বিজেপি। আর এর প্রেক্ষিতে তীব্র কটাক্ষের সুরে তাদের আগে দিল্লি সামলানোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমে নাগরিক পঞ্জী থেকে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়া, দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য তাঁর। আবার দিল্লিতে মমতার এমন আক্রমণের মুখে, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ২,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। সীমান্ত ঘেঁষা জেলায় অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে বরাবরই সরব বিজেপি। অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী থেকে ৪০ লাখ নাম বাদ পড়ায় গোটা দেশেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে তারা। তবে, লোকসভা ভোটের আগে এই সমালোচনাকেই বাংলায় পাল্টা ইস্যু করে তোলার চেষ্টায় পদ্ম শিবির। ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও এনআরসি করা হবে।


এদিন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অফ ইন্ডিয়ার আলোচনাসভায় যোগ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অসম নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, তখন এই আলোচনা সভার বিষয়ও যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ এবং প্রত্যাশিতভাবে খ্রিষ্ট ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত 'প্রতিবেশীকে ভালবাসো' (love thy neighbour)। সেই সূত্রেই এদিন বিজেপিকে তোপ দাগলেন মমতা। আরও পড়ুন- ‘রাজীব গান্ধীর সাহস ছিল না, আমাদের রয়েছে’, নাগরিক পঞ্জীকরণ নিয়ে তোপ শাহর


সোমবার অসমে এনআরসি প্রকাশ পেতেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক প্রস্থ আক্রমণ করেছেন মমতা। এরপর তাঁর গন্তব্য দিল্লি। অসম ইস্যুতে বিজেপির সঙ্গে তার লড়াই রাজধানীর অলিন্দেও ছড়িয়ে দিলেন মমতা। আর সে কাজে যে তিনি সফল, অমিত শাহের সাংবাদিক বৈঠকই তার প্রমাণ, এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। ঝাড়খণ্ডে শিশু বিক্রির অভিযোগে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবির অপ-প্রচার চালাচ্ছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন মমতা। সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে বক্তৃতা বাতিল হওয়ায় কারও নাম না করেই মমতা বুঝিয়ে দেন, তাঁর হলঘর দরকার নেই। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াই তিনি ছাড়বেন না। আরও পড়ুন- অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট করুক তৃণমূল, মমতাকে নিশানা শাহ-র


সব মিলিয়ে অসম ইস্যুকে সামনে রেখে এদিন ফের ২০১৯-এ বদলের ডাক দেন মমতা। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে বিজেপির পরাজয় চেয়ে দিল্লির আর্চবিশপ অনিল কুটোর চিঠি ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি করেছে। এদিন সেই বিশপদের সম্মেলনেই মোদী হঠাওয়ের ডাক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।