ওয়েব ডেস্ক: বিজেপিকে আটকাতে আঞ্চলিক দলগুলি যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে। নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠকের পর বিরোধী ঐক্যে গুরুত্ব দিয়ে মন্তব্য মমতার। ২০১৯-এর দিকে তাকিয়ে জোটের সলতে পাকানোর কাজটা কি তা হলে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেল? মমতা-নবীন বৈঠকের পর জল্পনা তুঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কংগ্রেসকে হারাতে পারে বিজেপি। আঞ্চলিক দলকে নয়। উত্তরপ্রদেশ এই মিথ ভেঙে দিয়েছে। এখন গেরুয়া শিবিরে অন্যতম টার্গেট ওড়িশা আর পশ্চিমবঙ্গ। বৃহস্পতিবার, পুরী থেকে ভুবনেশ্বরের বাড়িতে গিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, মমতার দিল্লি সফরে সংসদ ভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় নবীনের। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের সাক্ষাত্‍। ফলে, এ দিনের বৈঠক অতি সংক্ষিপ্ত হলেও শুরু হয়েছে জল্পনা।



বৃহস্পতিবারের বৈঠক নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাত্‍ বলে দাবি করলেও, মমতা যখন আঞ্চলিক দলের একজোট হওয়ার কথা বলছেন তখন মাথা নাড়তে দেখা যায় নবীনকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় রাজনীতিতে এখন কার্যত একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মমতা-নবীন। মমতা-নবীন দুজনেই একসময় বিজেপির সঙ্গে থাকলেও এখন তাঁরা গেরুয়া শিবিরের ঘোর বিরোধী। লোকসভার আসন সংখ্যায় তৃণমূল চতুর্থ। বিজেডি পঞ্চম। বিজেপির মোকাবিলায় দুই দলই উল্লেখযোগ্য বিরোধী শক্তি।      



পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সরিয়ে ক্রমশ বিরোধী রাজনীতির পরিসর দখল করছে বিজেপি। ওড়িশায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা।  পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় ক্ষমতা দখল করে দলে স্বর্ণযুগ আনার কথা বলছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। চিটফান্ড কাণ্ডে জেল হেফাজতে তৃণমূলের ২ সাংসদ। একই অভিযোগে নবীন পট্টনায়েকের দলের ৩ নেতাও জেলে। দু-জনেই এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করেন।



কম কথা বলা নবীনের বাইরে বেরিয়ে এসে মমতাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা। তার ওপর এত মিল। ফলে, ২০১৯-এর দিকে তাকিয়েই মমতা-নবীন কাছাকাছি আসছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার, ভুবনেশ্বরে যখন মমতা-নবীন বৈঠক করছেন, তখন দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ কুমার। সব মিলিয়ে ২০১৯-এর দিকে তাকিয়ে জোটের সলতে পাকানোর কাজটা এখন থেকেই শুরু হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। (আরও পড়ুন-সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিরোধী জোটের ডাক নীতিশের )