ওয়েব ডেস্ক:  EVM জালিয়াতির অভিযোগে সর্বদল বৈঠকের দাবি। জানিয়ে দিলেন মোদী-বিরোধী জোটের প্রস্তাবে তিনি রাজি। পাঁচ রাজ্যে ভোট শেষ হতে না হতেই ২০১৯-এর দিকে তাকিয়ে নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা উস্কে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবির পর বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন মায়াবতী। একই অভিযোগ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। দিল্লির তিন পুরসভার ভোট ব্যালটে করার দাবিতে সরব তিনি।



ইভিএম জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন অখিলেশ যাদব, রাহুল গান্ধীও। এই ইস্যুতে মায়াবতী কেজরিওয়ালের সঙ্গে এক সারিতে চলে এসেছেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে নোট বাতিল ইস্যুতে মোদী-বিরোধিতায় এককাট্টা হয়েছিলেন বিরোধীরা। বিজেপির বিশাল জয়ের পর এ বার হাতিয়ার ইভিএম জালিয়াতির অভিযোগ, সামিল তৃণমূলও।



ইভিএম জালিয়াতি, ভোটের ফল পাল্টে দিতে পারে বলে সরব বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিংসও এদিন দেখান মমতা।  উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বড় জয়ের পর এ ছাড়া গতি নেই। বলা শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা CP জোশী সরাসরি বলে দিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে থামাতে প্রতিটি রাজ্য ধরে ধরে যা করা সম্ভব তা তাঁরা করবেন।



এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, অ-বিজেপি জোটের প্রস্তাবে তিনি রাজি। অ-বিজেপি জোটের পক্ষে থাকা বিরোধী নেতাদের দাবি, ভোটের হার বলে দিচ্ছে সপা-কংগ্রেস জোটে মায়াবতী সামিল হলে এত বড় জয় পেত না বিজেপি।  বিহারে RJD-JDU এক হতে পারলে উত্তরপ্রদেশে কেন কাছাকাছি আসতে পারবে না সপা-বসপা? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।



মেয়াদ শেষে মায়াবতীকে রাজ্যসভায় ফেরাতে সপা সদস্যরা বহেনজিকে ভোট দিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। আপাতত ইভিএম ইস্যুকে কেন্দ্র করে মোদী বিরোধিতার যে ঐকতান শোনা যাচ্ছে, সেটাই এদিন আরও উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


তবে, রাজনৈতিক মহল বলছে, সার্বিক বিরোধী ঐক্যের কথা বলা যতটা সহজ করা ততটাই কঠিন। এ রাজ্যে সিপিএম-তৃণমূলের উদাহরণ তো হাতের কাছেই। (আরও পড়ুন- মোদী কখনই নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেন না : মেহবুবা মুফতি)