ওয়েব ডেস্ক: বাংলার ফর্মুলাতেই ত্রিপুরা দখলের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলার আস্তাবল ময়দানে আধঘণ্টার ঝোড়ো বক্তৃতা। তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর ফোর পয়েন্ট এজেন্ডা। তিনি পোড়খাওয়া রাজনীতিক। বাংলা হোক বা ত্রিপুরা। মানুষের নাড়িটা বোঝেন। তাই আধঘণ্টার বক্তৃতায় ছুঁতে ভুললেন না সবচেয়ে স্পর্শকাতর দুই প্রসঙ্গ। তাঁর সিপিএম বিরোধিতা সংশয়াতীত। বাংলায় সিপিএমকে হারিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন আগরতলাতেও ক্ষেত্র প্রস্তুত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবর্তনের ডাক
কীভাবে আসবে পরিবর্তন? চার রকমের কৌশল রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায়। 


বামপন্থী রাজনীতি
বাম বিরোধী হলেও তাঁর কৌশল বামপন্থীই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের এমনটাই মত। তৃণমূলে সূত্রে খবর, ত্রিপুরায় দলের নেতাদেরও তিনি বলেছেন, কংগ্রেসি কালচার ত্যাগ করে মানুষের কাছে যেতে হবে। ওপর ওপর নয়, বামপন্থীদের মতোই তৃণমূল স্তর পর্যন্ত প্রচার করে পাশা উল্টে দিতে চান তিনি। 


বাম বিরোধীদের নিরাপত্তা
সিপিএমের বিরুদ্ধে চুটিয়ে প্রচার করুন নির্ভয়ে। নিরাপত্তার অভাব হবে না। দলীয় কর্মীদের অভয় দিলেন। 


আবেগ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। পালাবদলের আগে এরাজ্যে যেমন করতেন, আগরতলাতেও সেভাবেই তুঙ্গে নিয়ে গেলেন সিপিএম বিরোধী প্রচার। পুরনো মেজাজে পাওয়া গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিরোধীর মেজাজ। এই মেজাজে তাঁকে চেনে গোটা দেশ। আস্তাবল ময়দানের আধঘণ্টার বক্তৃতায় মমতা বুঝিয়ে দিলেন, ছ বছর প্রশাসনের শীর্ষে থেকেও বিরোধী রাজনীতিটা তিনি ভোলেননি।