নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রায় ১২ ঘণ্টা দেরিতে চলছে ট্রেন। নেটওয়ার্কের অভাবে ট্রেনে থাকা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিল না ছেলে। ছটফট করছিলেন মা কেমন আছেন জানার জন্য। নিরুপায় হয়ে তাই টুইট করে মায়ের খোঁজ দেওয়ার আর্জি জানান শাশ্বত পান্ডে নামের জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী। আর তাতেই মিলল সুফল। টুইট থেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাড় করে ট্রেনে থাকা মায়ের সঙ্গে ফোনে ছেলের যোগাযোগ করিয়ে দিল ভারতীয় রেল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



সোমবার আজমির-শেয়ালদহ এক্সপ্রেসে রওনা দেন বারাণসীর  বাসিন্দা শীলা পান্ডে। মাঝপথে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় প্রায় ১২ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল তাঁর ট্রেন। এদিকে ট্রেনে শীলা পান্ডের ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় বার বার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর ছেলে শাশ্বত পান্ডে। প্রায় ১২ ঘণ্টা দেরিতে চলা ট্রেনে একা বয়স্ক মা কেমন আছেন সেই চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠেন শাশ্বত। শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে, টুইটারে শাশ্বত লেখেন, "মহাশয়, আমার মা শীলা পান্ডের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করতে পারছি না।" তাঁর ট্রেন ও কোচের তথ্যও লেখেন শাশ্বত। সব শেষে লেখেন, "তিনি কেমন আছে যদি একটু জানান ভাল হয়।" টুইটটি তিনি রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল ও রেলমন্ত্রককে ট্যাগ করেন। 


 



দুপুর ১২.৪২ মিনিটে টুইট করেন শাশ্বত। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁর টুইটের রিপ্লাই করে রেলওয়ে সেবা। তাঁর মায়ের পিএনআর ও মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। পিএনআর নম্বর না জানা থাকলেও মায়ের ফোনের নম্বরও জানান তিনি। 


 



এর পর জানতে চাওয়া হয় কোন স্টেশন থেকে ও কবে তিনি উঠেছিলেন। সেই মতো তথ্যও দেন শাশ্বত। 


 



এর পরে রেলওয়ে সেবা জানায়, বিষয়টি আসানসোলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে জানানো হচ্ছে। 


 



আসানসোলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার খবর পেয়ে ট্রেনে থাকা টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিই শীলা পান্ডের সঙ্গে ট্রেনে যোগাযোগ করেন। তার পর তাঁর ফোন থেকেই শাশ্বতর সঙ্গে কথা বলেন তাঁর মা। বিষয়টি জানিয়ে টুইটও করেন আসানসোলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার। 


 



রেল মন্ত্রকের তত্পরতায় মুগ্ধ নেটিজেনরা। কিছুটা যেন অবাক হন শাশ্বতও। টুইট করে রেলমন্ত্রককে ধন্যবাদ জানান তিনি। 


 



অনেকেই রেলমন্ত্রকের স্যোশাল মিডিয়ায় দ্রুততার প্রশংসা করেন। তবে সেই সঙ্গে ট্রেন প্রায় ১২ ঘণ্টা দেরিতে চলার ব্যাপারটিও তুলে ধরেন অনেকে।