ওয়েব ডেস্ক:  বড় হয়ে গায়িকা হবে, স্বপ্ন ছিল ১৩ বছরের মেয়েটির। কিন্তু স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল তার। পাশের বাড়ির এক পরিচিত ছেলের সঙ্গে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার 'অপরাধ'-এর মাশুল নিজের জীবন দিয়ে দিতে হল তাকে।  মেয়ের 'চরিত্র' খারাপ, এই সন্দেহে নিজের ১৩ বছরের মেয়েকে দেওয়ালে মাথা ঠুকে 'খুন' করলেন বাবা। তারপর জ্বালিয়ে দেওয়া হল তার দেহ। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এই ঘটনার সাক্ষী থাকল তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা এলাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী ঘটেছিল?


ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ সেপ্টেম্বর। স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে, স্কুলব্যাগ রেখে কাকার বাড়িতে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এরইমধ্যে তার বাবা মা ফিরে এসেছিলেন। মেয়ে স্কুলে থেকে ফিরে গিয়েছে, সে বুঝতে পেরে তাকে খুঁজতে বেরিয়ে যান তার বাবা মাও। পথে মেয়েকে পাড়ারই এক ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন ছাত্রীর বাবা। তারপর বাড়িতে ফিরে ছাত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মেয়ের মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেন অভিযুক্ত চিন্না নরসিমা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। প্রমাণ লোপাটের জন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে আগুন জ্বালিয়ে দেন ছাত্রীর বাবা-মা। প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেন। প্রথমে গ্রামের স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের তরফে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করলেও ময়নাতদন্তের না করিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য জোরাজুরি করাতেই সন্দেহ হয় অনেকের।


পরে পুলিস ছাত্রীর বাবা-মাকে গ্রেফতার করে। জেরায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেন তাঁরা। মেয়ের 'চরিত্র' খারাপ, এই সন্দেহে তাকে খুন করা হয় বলে জেরায় জানিয়েছেন ছাত্রীর বাবা।