জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছর শুরুতেই হাড়হিম কাণ্ড। ১ জানুয়ারি লখনউয়ের হোটেল থেকে উদ্ধার মা সহ চার মেয়ের মৃতদেহ। ইতোমধ্যেই ঘটনায় ২৪ বছরের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস জানিয়েছে, ২৪ বছরের আরশাদ আগ্রার বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পারিবারিক বিবাদের কারণে সে এই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ বছরের আলিয়া, ১৬ বছরের আকসা, ১৮ বছরের রাহমিন, এবং ১৯ বছরের আলশিয়া-সবাই আরশাদের নিজের বোন। পঞ্চম হলেন তার মা। সেন্ট্রাল লখনউয়ের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলি, (ডিসিপি), রাভিনা ত্যাগী জানিয়েছেন যে ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের নাকা এলাকার হোটেল শরণজিতে।


ডিসিপি জানিয়েছেন, আরশাদ নামে অভিযুক্ত তাঁর পরিবারে পাঁচ জনকে খুন করেছে। হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় পুলিস অবিলম্বে অপরাধের স্থান থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক দলগুলিকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হয়েছে।


পুলিসের জয়েন্ট কমিশনার বলেন, হোটেলের কর্মীরা দাবি করেছেন যে ৩০ ডিসেম্বর এই পরিবার চেক-ইন করেছিল। সেই সময়ে, অভিযুক্তের বাবা-সহ মোট সাতজন সেখানে ছিলেন। অভিযুক্ত হেফাজতে থাকাকালীন পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মোট পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করে। কিন্তু সেখানে বাবার কোনও হদিশ মেলেনি।


তিনি আরও জানান, নিহতদের কারোর ঘাড়ে এবং কারোর কবজিতে গুরুতর ক্ষত ছিল। তবে ঠিক কীভাবে তাদের খুন করা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই দেখা যাবে।


আরও পড়ুন:New Town: বছর শুরুতেই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ! তীব্র চাঞ্চল্য নিউটাউনে...


উল্লেখ্য, স্ত্রী ও স্ত্রীর আত্মীয়দের নির্যাতনে মাত্র ৩৪ বছরেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা অতুল সুভাষ। লিখে ছিলেন ২৪ পাতার সুইসাইড নোট। যার মধ্যে ৪পাতা হাতে লেখা এবং বাকি ২০ পাতা টাইপ করা। অতুলের কাহিনী শুনে শিউরে ওঠে গোটা দেশ। দেশজুড়ে সেই সময় ১০ ডিসেম্বর বধূ নির্যাতনের একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিবাহিত সম্পর্কে কোনও সমস্যা হলেই ব্যক্তিগত শত্রুতা বা আক্রোশ মেটাতে বধূ নির্যাতন বিরোধী আইনের ৪৯৮-এ ধারা-কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এবার এই ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হল অতুলের প্রাক্তন স্ত্রী নিকিতা, শাশুড়ি নিশা এবং শ্যালক অনুরাগ সিংহানিয়াকে। 


কিন্তু এবার বেঙ্গালুরু আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার আতুল সুভাষের পরিবার ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে যে, নাতিকে তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। তার কাস্টডি চেয়ে পুলিস তো বটেই, সুপ্রিমকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অতুলেরও ৪ বছরের ছেলে এখন এই মুহূর্তে কোথায় সেই বিষয়ে এখনও বড় ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃত ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার আগেই দাবি করেছিল, ৪ বছরের নাতির মধ্যে নিকিতাদের পরিবার তাঁদের ছেলেকেই দেখতে পায়। 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)