নিজস্ব প্রতিবেদন: গরু চোর সন্দেহে হরিয়ানায় এক ব্যক্তিতে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। হরিয়ানার পালওয়াল জেলার বেহরোলা গ্রামে গণধোলাইয়ের মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুজন কোনওক্রমে পালাতে সক্ষম হন। ঘটনায় তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার পালওয়াল জেলায় বেহরোলা গ্রাম। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তিকে গরু নিয়ে পালাতে দেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। এরপরই তাঁরা জড়ো হন। রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যান মৃতের দুই বন্ধু। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।           


রাজস্থানের আলোয়ারের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় ২৮ বছরের আকবর খানের। গরু চোর সন্দেহে তাঁর উপরে চড়াও হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার দুসপ্তাহ পরে হরিয়ানায় আরও একটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটল। আকবরও ছিলেন হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁকে রামগড়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। আলোয়ারের ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে রাজস্থান সরকার। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজনকে। ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে।   


গতবছর ৩ এপ্রিল রাজস্থানের আলোয়ারে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয় হরিয়ানার বাসিন্দা পেহলু খানকে। তার দুদিন পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় পেহলুর। পেহলু খানের মৃত্যুর পর গোটা দেশজুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার অভিযোগে সোচ্চার হন বিরোধী নেতানেত্রীরা।      


সাম্প্রতিককালে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর নেপথ্যে কেন্দ্রীয় নেতামন্ত্রীদের 'নরম' অবস্থানকে দায়ী করেছে বিরোধীরা। অতিসম্প্রতি গণধোলাইয়ে অভিযুক্তদের নিজের বাাড়ি ডেকে সম্মানিত করায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা। বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাফাই দিয়েছিলেন, আইন আইনের পথেই চলবে। অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবেই।


বিজেপি-আরএসএস দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে বলে মোদীকে নিশানা করেছেন রাহুল গান্ধী। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আলোয়ার নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান বলেছিলেন,''ভবিষ্যত্ প্রজন্মের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মুসলিমদের গরু কেনাবেচার ব্যবসায় থাকা উচিত নয়''।


শুধু বিরোধীরা নয়, ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া আইন আনার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় পরিবর্তনের কথা ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক সরকারি আমলা।


আরও পড়ুন- জল্পনার অবসান, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরই ঠিক হবে মহাজোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ