ওয়েব ডেস্ক : প্রতিটি রেল যাত্রায় সরকার প্রতিটি রেলযাত্রীকে ভর্তুকি দেয়। এক বা দুই শতাংশ নয়, বরং তা ৪৩ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। যাত্রীদের অবগত করতে দূরপাল্লার রেল টিকিটে গত বছর জুন মাস থেকে এই মেসেজটি লিখে দেওয়া হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি, জম্মু-নতুন দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে যাত্রা করছিলেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। রেলের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন তিনি। সেই টিকিটে যথারীতি লেখা ছিল, 'ভারতীয় রেল যাত্রার খরচের মাত্র ৫৭ শতাংশই একজন যাত্রীর থেকে নেয়। বাকিটা ভর্তুকি দেয়।'


আরও পড়ুন- লকার থেকে কিছু হারালে, তার দায় নেই ব্যাঙ্কের : RBI


এই মেসেজটি দেখার পরই, ওই যাত্রী সিদ্ধান্ত নেন তিনি সেই ভর্তুকি নেবেন না। ফল? তিনি ও তাঁর স্ত্রীর যাত্রার খরচ বাবদ ৯৫০ টাকার একটি চেক কেটে তা রেল মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে একটি চিঠি। সেখানে রেলমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে পরিষ্কার ভাবে লেখা রয়েছে যে, তাদের টিকিট বাবদ যে টাকা কাটা হয়েছে তা ভর্তুকি যুক্ত। কিন্তু, তারা সেই ভর্তুকি নিতে চান না। তাই ৪৩ শতাংশের নিরিখে অতিরিক্ত অর্থ দাঁড়ায় ওই ৯৫০ টাকা, যা তিনি রেলকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।


কিন্তু, এই চেকটি নিয়েই এখন সমস্যায় পড়েছে রেলমন্ত্রক। তাদের তরফে জানানো হয়েছে এভাবে টাকা ফেরত নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা তাদের নেই। তাই এই চেক পেয়ে তারা সমস্যায় পড়েছে।


গত কয়েক বছর ধরেই সিনিয়র সিটিজন সহ একাধিক বিষয়ে ভর্তুকি রয়েছে রেল টিকিটে। যদিও, সেক্ষেত্রে যাত্রীরা নিজেরাই ঠিক করেন ভর্তুকি নেবেন কী না!