নিজস্ব প্রতিবেদন— সরকারের কাছে টাকা নেই। এখন আপনারাই দেশের অর্থনীতি...। হঠাত্ কথাগুলো বলেই তিনি লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মাথায় ফুল ছুড়তে শুরু করলেন তিনি। দেশজুড়ে চলেছে তৃতীয় দফার লকডাউন। স্কুল, কলেজ, বইয়ের দোকান বন্ধ। শুধুমাত্র অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ, তা নয়। পড়ুয়াদের পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। কবে সব স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না। কিন্তু দেশের অর্থনীতি তা বাঁচাতে হবে। সরকার জানিয়েছে, করোনার প্রকোপে দেশের অর্থনীতির চাকা গর্তে পড়েছে। সেই চাকা টেনে তুলতে এখন ভরসা মদের দোকান। মানুষ যত বেশি মদ্যপান করবেন তত তাড়াতাড়ি সচল হয়ে উঠবে অর্থনীতি। আর তাই সোমবার থেকে কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি জায়গায় মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর প্রথম দিনেই রেকর্ড বিক্রি। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দফারফা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মদের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেয়েছে পুলিস প্রশাসন। লম্বা লাইনে গায়ে গা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েক গুণ। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্ষুন্ন হলেও অর্থনীতির স্বার্থে মদের দোকান খোলার মতো ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। অর্থাত্, দেশের অর্থনীতি এখন মদের পেয়ালায়। যত বেশি গ্লাস, তত বেশি আয়। মুষড়ে পড়া অর্থনীতি আবার টগবগিয়ে ছুটবে। এমন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে দেখা গেল মদের দোকানের বাইরে দাঁড়ানো মানুষদের মাথায় পুষ্পবৃষ্টি করছেন। আর বলছেন— সরকারের কাছে টাকা নেই। এখন আপনারাই দেশের অর্থনীতি। 


আরও পড়ুন—  দেশের এই রাজ্যে জারি হল ১৪৪ ধারা, লকডাউন না মানলে এবার হবে জেল



দিল্লির চান্দেরনগরের ঘটনা। সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এমন আজব কাণ্ড করার কারণ কী! তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ফুলের সঙ্গে তীব্র শ্লেষ মিশিয়ে ছুড়েছেন তিনি। অর্থাত্, সরকারের মদের দোকান খোলার ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেন তিনি এভাবেই। সারা দেশে বহু মানুষ মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্তে সওয়াল করেছেন। সোমবারের ছবি দেখিয়ে দিয়েছে, মদের দোকানের বাইরে লম্বা লাইন দেশে সংক্রমণের আশঙ্কা নতুন করে কতটা বাড়িয়ে দিল! একদিকে দেশের বেশিরভাগ মানুষ হাজার কষ্ট সহ্য করে লকডাউনে সাড়া দিচ্ছেন। আরেকদিকে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সংক্রমণ এড়ানোর যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ করে দিচ্ছে!