নিজস্ব প্রতিবেদন : ভালবেসেই বিয়ে করেছিলেন দুজন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ভুল বোঝাবুঝি শুরু। ফল, রোজদিন দুজনের মধ্যে অশান্তি। কখনও কখনও হাতাহাতি। দুজনেই দুজনের উপর বিতশ্রদ্ধ, বিরক্ত। ২০ বছরের ন্যান্সি শর্মা ও ২১ বছরের সাহিল চোপড়ার বিয়ে হয়েছিল বছরখানেকও হয়নি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের পরিণতি হল মর্মান্তিক। স্ত্রীর লেট নাইট পার্টি নিয়ে আপত্তি ছিল সাহিলের। ন্যান্সি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ করতেন সাহিল। আর তার জেরে অশান্তি দিন দিন বাড়তে থাকে। এর পরই ষড়যন্ত্র করেন সাহিল। স্ত্রীকে লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গুলি করে খুন করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মধুচন্দ্রিমায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে দড়ি ছিঁড়ে মৃত্যু স্বামীর


পশ্চিম দিল্লির জনকপুরির ঘটনা। ১০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ন্যান্সি। লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়ার নাম করে পানিপথের কাছে ন্যান্সিকে গুলি করে ফেলে আসেন সাহিল। তাঁর সঙ্গে ড্রাইভার ও খুড়তুতো ভাইও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। ৯ নভেম্বর রাতে ন্যান্সি ও সাহিলের মধ্যে প্রবল ঝামেলা হয়। এর পরই রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে যান ন্যান্সি। পরদিন সন্ধ্যের দিকে ন্যান্সির বাড়িতে হাজির হন সাহিল। ন্যান্সিকে তিনি বলেন, যা হয়েছে ভুলে যেতে। এবং তাঁকে ক্ষমা করে দিতে! ন্যান্সি তাঁর কথায় ভুলে যান। মন ভাল করার জন্য স্ত্রীকে লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব দেন সাহিল। রাজি হয়ে যান ন্যান্সি। তার পরই পানিপথের কাছাকাছি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে স্ত্রীকে গুলি করেন সাহিল। এর পর বেমালুম বাড়ি ফিরে আসেন সাহিল। সেদিন থেকেই ন্যান্সির বাড়ির লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শেষমেশ পুলিসের দ্বারস্থ হন তাঁরা।


ন্যান্সির বাবা অভিযোগ করেছেন, পণের জন্য তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত সোহেল। যদিও সোহেলের বাড়ির লোকের দাবি, তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। ফলে টাকা-পয়সার কোনো অভাব তাঁদের নেই। সোহেল এমন কাণ্ড করেছেন নেহাতই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে। প্রথমে পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি সাহিল। তবে ন্য়ান্সির মোবাইলের সূত্র ধরে সাহিলকে জেরা করা শুরু করে পুলিস। প্রথম থেকেই অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকেন তিনি। এর পর একটা সময় জেরার মুখে ভেঙে পড়েন।