নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে সম্মতি নিতে হবে গর্ভস্থ ভ্রুণের। স্রেফ যৌন আনন্দ এবং নিজেদের ইচ্ছায় কোনও ভাবেই সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করা যাবে না! গর্ভস্থ ভ্রুণ সম্মতি না দিলে মা, বাবা মানবজন্ম দিতে পারবে না, আলোর মুখ দেখাতে পারবে না গর্ভস্থ শিশুকে!  শুনে অবাক লাগছে? এমনটা কীভাবে সম্ভব, এটাই ভাবছেন তো? হ্যাঁ, সেটা ভাবাই স্বাভাবিক। তবে দ্য ভলেন্টিয়ারি হিউম্যান এক্সটিঙ্কশন মুভমেন্টের করর্মীরা মনে করেন, “ভ্রুণের সম্মতি ছাড়া সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানো অপরাধ।” এতে মানবজীবনে অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হয় সন্তানদের। তাঁদের মতে, মা-বাবারা ভবিষ্যতের কথা না ভেবে সন্তানের জন্ম দেওয়ার ফলে অনেক কষ্টও করতে হয় সন্তানদের। যার প্রতিবাদে মুম্বইতে একটি আন্দোলনও সংগঠিত করছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে  ‘Anti-Natalism Movement’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এই আন্দোলনের মূল বক্তব্য হল, সন্তানের অনুমতি না নিয়ে  মানবজন্ম দিতে পারবেন না কোনও বাবা,মা-ই। ‘Anti-Natalism Movement’-এর অন্যতম কর্মী মুম্বই নিবাসী রাফায়েল সম্যায়ুলের মতে, বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই মানবজন্ম হচ্ছে। এখানে সন্তানের কোনও ভূমিকাই থাকে না। সন্তানের ইচ্ছা এবং অনিচ্ছার বিষয়টিও মা-বাবারা মাথায় রাখেন না। যার ফলে জন্মের পরই শিশুকে পড়াশোনা থেকে রোজগার সংক্রান্ত নানা বিষয়ের মধ্যে জড়িয়ে পড়তে হয়। সন্তান আদৌ এই বিষয়গুলোর জন্য প্রস্তুত কি না, তা নিয়ে কখনই ভাবা হয় না।



(রাফায়েল স্যামুয়েল)


এসবের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন ২৭ বছরের স্যামুয়েল। তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা, মায়ের সম্পর্ক মধুর, তবে তিনি বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে বলেই জানিয়েছেন। মানবজন্মের আগে সন্তানের সম্মতি নিতে হবে, এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে স্যামুয়েল ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।   


স্যামুয়েল আসলে বলতে চাইছেন, কোনও মানুষের উপর অন্য কোনও মানুষ তাঁর পাওয়া বা না পাওয়াকে চাপিয়ে দিতে পারেন না। প্রতিটি মানুষই তাঁর নিজের স্বপ্নে বাঁচে এবং নিজের জীবন নিজের ইচ্ছাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। এই মানবাধিকারের পক্ষেই জোরালো সওয়াল করেছেন এই যুবক।