নিজস্ব প্রতিবেদন: গোয়া, মণিপুরে একক বৃহত্তম দল হয়েও কংগ্রেস সরকার গড়তে যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই সেখানে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে সরকার গড়তে হয়েছে বিজেপিকে। সোমবার কর্ণাটকে সরকার গড়া নিয়ে টান টান নাটকের মাঝে এমনই মন্তব্য করে নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেখানে বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার দাবি জানায়। আড়াই দিনের সরকারও গড়ে। পরে ফ্লোরে সংখ্যাগড়িষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় তারা। সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কেনও গোয়া ও মণিপুরে সরকার গড়তে পারবে না কংগ্রেস? কারণ গোয়া ও মণিপুরে কংগ্রেস বৃহত্তম দল হলেও, বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে সেখানে সরকার গঠন করেছে। এদিন, কংগ্রেসের সেই মন্তব্যকেও একহাত নেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ''সেখানে কংগ্রেস বৃহত্তম দল হলেও সরকার গড়তে এগিয়ে আসেননি। তাই বাধ্য হয়েই রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে সেখানে সরকার গড়েছে বিজেপি।''  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর্নাটকে কংগ্রেস ও জেডিএস জোটকে ফের কটাক্ষ করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সোমবার তিনি বলেন, ''কর্নাটকবাসীর রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করে সরকার গঠন করছে তারা। তাই এই জোটকে অপবিত্র জোট ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না।''


কর্নাটক নির্বাচনের পর সেখানে সরকার-গঠন নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন বিজেপি সভাপতি। তাঁর কথায়, ''কর্ণাটকের মানুষ আর কংগ্রেসকে চায় না। তাই তাদের হারের সম্মূখীন হতে হয়েছে। তবুও শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের জন্যই সেখানে জোর করে মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে জেডিএস-কে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ছে তারা। তবে, এই সরকার বেশিদিন স্থায়ী হবে না।''


কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু। ২২৪ আসনের এই বিধানসভায় প্রথমিকভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে ২২২টি আসনে। তার মধ্যে ১০৪টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। কিন্তু, ১১২-র ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পেয়েছে ৭৮টি আসন। সেখানে সরকার গড়ার পক্ষে যে দল সেখানে কিং মেকারের কাজ করবে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল, সেই জেডি(এস) জোট পেয়েছে ৩৮টি আসন।


বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে ১৫ই মে ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জেডিএস-কে সমর্থন দিয়ে সরকার গড়তে চেয়ে রাজ্যপাল বাজুভাই বালাকে চিঠি দেয় কংগ্রেস। বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার আর্জি জানিয়েছে রাজ্যপালের কাছে যায় বিজেপিও। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাজ্যপাল নিজের কোর্টে বল রেখে অবশেষে বিজেপিকে সরকার গড়ার আহ্বান জানান। যদিও, বিজেপিকে রুখতে গত বুধবার মাঝরাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস-জেডিএস জোট। তবে, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পার শপথের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু সরকার গঠনের আড়াই দিন পরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের বিষয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বিজেপি। এরপরই পদত্যাগ করেন ইয়েদুরাপ্পা। অবশেষে স্থির হয় সরকার গড়বে কংগ্রেস-জেডিএস জোট।