নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপাট চলে যাওয়ার পর 'চলো পাল্টাই'-য়ে সওয়ার ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও। ক্ষমতা যাওয়ার পর আগরতলায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে সস্ত্রীক থাকছিলেন। এবার বিপ্লব দেব সরকারের কাছে থাকার জায়গা ও গাড়ি চেয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০ বছর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক। দেশের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনিই। গত ৮ মার্চ নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের আগেরদিন সরকারি আবাস ছেড়ে স্ত্রী পাঞ্চালি ভট্টাচার্যকে নিয়ে দলের অফিসে চলে যান মানিকবাবু। 


২৬ মার্চ ত্রিপুরা বিধানসভার সচিব বামদেব মজুমদারকে চিঠি লিখে সরকারি আবাস ও গাড়ি চেয়েছেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এর পাশাপাশি নতুন নির্মিত তিনটি আবাসের একটি দাবি করেছেন মানিক সরকার।      


বামদেববাবু জানিয়েছেন, শারিরীক অসুস্থতার কারণে ইনোভা এবং স্করপিও গাড়ি চেয়ে মৌখিক অনুরোধ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তাঁকে বোলেরো জিপ দেওয়া হয়। যদিও সেই গাড়িটি পাঁচ বছর পুরনো বলে ব্যবহার করতে চাননি মানিকবাবু। হায়দরাবাদে পার্টি কংগ্রেসে থাকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 


মানিক সরকারের এমন দাবির পর খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সাধারণ মানুষের ভাবমূর্তি বজায় রেখেছিলেন মানিক সরকার। তাঁর এহেন আবদারের পর বিজেপির মুখপাত্র মৃণালকান্তি দে-র কটাক্ষ, ''দেশের সবচেয়ে গরিব মুখ্যমন্ত্রী হলেও বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন মানিক সরকার। তাঁর দাবিদাওয়া এটাই প্রমাণ করল। ওনার আমলে রাজ্যের সমস্ত বিধায়করা হস্টেলেই থেকেছেন। কোনও বিলাসিতার দাবি কেউ করেননি। সেই নিরিখে মানিক সরকারের দাবি বামপন্থার আদর্শে পরিপন্থী।''


কংগ্রেসের মুখপাত্র তাপস দে বলেন, ''আমরা তাঁকে সাধারণ হিসেবেই জানতাম। বিলাসিতার এই দাবি ওঁর ব্যক্তিত্বকে মানায় না। সমালোচকদের বলার সুযোগ করে দিলেন তিনি।''   


নির্বাচনের আগে নিজের হলফনামায় মানিক সরকার জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে নগদ রয়েছে ১,৫২০ টাকা ও ব্যাঙ্কে রয়েছে ২,৪১০ টাকা। 


আরও পড়ুন- নাবালিকা ধর্ষণে কড়া শাস্তি, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করল মোদী সরকার