১২ ঘন্টাও কাটেনি, জল্পনায় জল ঢেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বললেন,`আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই`
প্রথম `না` এসেছিল গঙ্গাকন্যা উমা ভারতীর কাছ থেকে। এবার `না` বললেন ইঞ্জিনিয়ার মনোজ সিনহা। কে হবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী? এর উত্তর বোধহয় বিজেপির কাছেও নেই। ইউপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যাদের নাম দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে তাঁরাই `ঘোষণা করছেন, `না, আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই`। ১২ ঘন্টাও হয়নি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোনজ সিনহার নাম নিয়ে যে `জল্পনার ফানুস` আকাশমুখী হচ্ছিল, সেই ফানুসে আলপিন বিঁধে দিলেন তিনি নিজেই। `উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই আমি`, সাফ জানালেন ৫৭ বছর বয়সী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আইআইটি ফেরত ইঞ্জিনিয়ার মনোজ সিনহা। এর আগে ঠিক একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজের নামের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন ও গঙ্গা বিকাশ মন্ত্রী উমা ভারতী। `আমি গঙ্গা নিয়েই ভাবছি`, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নে এই উত্তরই দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তাবড় বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। এবার একই পথে হাঁটলেন মোনজ তিওয়ারি।(মোদীর মন জিতে মনোজই সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী, ইউপিতে চিফ মিনিস্টারের দৌড়ে নেই মৌর্য)
ওয়েব ডেস্ক: প্রথম 'না' এসেছিল গঙ্গাকন্যা উমা ভারতীর কাছ থেকে। এবার 'না' বললেন ইঞ্জিনিয়ার মনোজ সিনহা। কে হবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী? এর উত্তর বোধহয় বিজেপির কাছেও নেই। ইউপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যাদের নাম দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে তাঁরাই 'ঘোষণা করছেন, 'না, আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই'। ১২ ঘন্টাও হয়নি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহার নাম নিয়ে যে 'জল্পনার ফানুস' আকাশমুখী হচ্ছিল, সেই ফানুসে আলপিন বিঁধে দিলেন তিনি নিজেই। "উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই আমি", সাফ জানালেন ৫৭ বছর বয়সী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আইআইটি ফেরত ইঞ্জিনিয়ার মনোজ সিনহা। এর আগে ঠিক একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিজের নামের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন ও গঙ্গা বিকাশ মন্ত্রী উমা ভারতী। "আমি গঙ্গা নিয়েই ভাবছি", মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নে এই উত্তরই দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তাবড় বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। এবার একই পথে হাঁটলেন মনোজ সিনহা।(মোদীর মন জিতে মনোজই সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী, ইউপিতে চিফ মিনিস্টারের দৌড়ে নেই মৌর্য)
কেশব প্রসাদ মৌর্য যে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যে তিন নাম সবথেকে বেশি আলোড়ন ফেলেছিল, তাঁরা নিজেরাই 'ইচ্ছুক' নন, তাহলে কী ইউপিতে আসবে 'যোগী রাজ'? তবে ইউপির মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে যে বিষয়ে সবথেকে বেশি নজর রাখতে হবে তা হল 'বশ্যতা' এবং 'আনুগত্য'। 'সবার ওপরে মোদী সত্য, তাহার উপরে নাই', এটাই এক এবং একমাত্র ক্রাইটেরিয়া! আরও ভাল করে বললে মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবীশের মতই মুখের খোঁজ চলছে বিজেপিতে।
যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ। গো-বলয়ে ডাকাবুকো নেতা হিসেবেই পরিচিত এই বিজেপি সাংসদ। সংঘ ঘেঁষা হলেও মদী-অমিত শাহের গুড লিস্টে যোগী আদিত্যনাথ অনেকটাই নিচে। তবে আদিত্যনাথের 'হিন্দুবাদী জেহাদ' তাঁকে লখনউয়ের মসনদে বসিয়ে দিতে পারে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, ইতিমধ্যেই এটা পরিষ্কার যে বিভাজনের ভোটেই বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। কোনও মুসলিম মুখ কার্যত নেই। বিজেপির স্মৃতিতে আছে রাম মন্দির ইস্যু। সব মিলিয়ে কাকে 'মুখ্য' করে এগোবে বিজেপি এই ধন্দ্বেই দিন কাটছে বিজেপির।
মনে বাসনা থাকলেও, মুখে সবাই বলছেন, না, না! কেউই মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন না! এর কারণ কী? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, ইউপির মসনদে বসা মানে কাঁটার মুকুট মাথায় পরে নেওয়া। রাম মন্দির এবং বাবরি ইস্যু নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে। একদিকে সংঘ একদিকে বিজেপি, সঙ্গে 'রাজধর্ম', এই টানাপোড়েনে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ না হলে সামলানো মুশকিল! এরপর বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেস-সমাজবাদী-বহুজন সমাজবাদী-জনতা দল সহ বামেরাও এককাট্টা হবে। সব মিলিয়ে যেমন আছি ভালো আছি, এই মনোভাব থেকেই পিছিয়ে আসছে তাবড় থেকে আরও তাবড় নেতারাই, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।