নিজস্ব প্রতিবেদন: মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। ছত্তিশগড়ের সুকমায় গুলির লড়াইয়ে হত ১৪ মাওবাদী। এনিয়ে এমাসে ৩টি মাও হামলা হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার ভোররাত থেকে গুলির লড়াইয়ে কেঁপে ওঠে সুকমার কোন্টা ও গোলাপল্লি থানার মধ্যবর্তি জঙ্গল। জেলা পুলিস, সিআরপিএফ ও স্পেশাল টাস্কফোর্সের জওয়ানদের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই শুরু হয়ে ‌যায়। নিরাপত্তাবাহিনীকে ঘিরে ধরে কমপক্ষে ২০০ মাওবাদী। এখনও প‌র্যন্ত পাওয়া খবর অনু‌যায়ী গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ মাওবাদীর। এলাকায় এখনও আর কোনও মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা তল্লাশি করে দেখছে নিরাপত্তাবাহিনী। একথা জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের ডিআইজি সুন্দররাজ পি।


এ সপ্তাহেই ছত্তিশগড়ে আরও দুটি মাও হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিং ইতিমধ্যেই মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করার ডাক দিয়েছেন। রমণ সিং জানিয়েছেন, দিনের পর দিন অভি‌যানের ফলে মাওবাদীরা একদিন শেষ হয়ে ‌যাবে।


আরও পড়ুন-বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় ভারতের


কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার থেকেও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে মাওবাদী হানা। দেশে প্রতিবছর ‌যত জওয়ান নিহত হয় তা জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের থেকে সংখ্যায় বেশি। মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিং রাজ্যের উপজাতি মানুষজনের কাছে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভি‌যানে সহ‌যোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, নাওবাদীদের প্রতি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক নয়তো তাদের একদিন শেষ করে ফেলবে নিরাপত্তা বাহিনী।


উল্লেখ্য, গত ৩ অগাস্ট বিজাপুরে এক এনকাউন্টারে নিহত হয় এক মাওবাদী। আহত হন ২ পুলিস কর্মী। সাপ্তাহিক বাজার বসার একটি জায়গায় টহল দেওয়ার সময়ে পুলিসের ওপরে হামলা চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা গুলিতে নিহত হয় ওই মাওবাদী।


আরও পড়ুন-সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫এ বাতিলের মামলার শুনানি আজ, উত্তাল কাশ্মীর


বিজাপুরের পুলিস সুপার মোহিত গর্গ জানিয়েছেন, টহলরত ২ জওয়ানের ওপরে হামলা চালায় ১০-১৫ জন মাওবাদীর একটি দল। সাদাপোশাকে ছিল ওইসব মাওবাদীরা। এভাবেই বাজার বসার দিন হামলা চালিয়ে থাকে মাওবাদীরা।


১ আগস্ট বিজাপুরেই এক কোবরা জওয়ানকে লক্ষ্য করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। হামলার হয় বাসগুড়া থানা এলাকায়। এরিয়া ডমিনেশনের সময়ে ওই হামলা করা হয়।