নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে কি ফের একজোট হচ্ছে মাওবাদীরা? এমনই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃত্যুর এরাজ্যে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছিল মাওবাদীরা। এবার সেই মৃত্যুর ৬ বছর পর ফের শক্তি সঞ্চয় করছে মাওবাদীরা। খবর, দৈনিক ডিএনএ সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মনে করছেন আকাশের নেতৃত্বে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ফের নিজেদের জমি তৈরি করছে মাওবাদীরা। ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার মধ্যেই আপাতত তারা তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গত কয়েক মাসে এদের ১২ জনের একটি স্কোয়াডকে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের জঙ্গলে দেখা গিয়েছে।


আরও পড়ুন-সাক্ষাত্ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা! রায়গড়ে একমাত্র জীবিতের মুখে হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা


সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সিআরপিএিফের ডিজি আর আর ভাটনগর। রাজ্যের ডিজি, এডিজি, আইজিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভাটনগর। তিনিও মাওবাদীদের গতিবিধির কথা স্বীকার করেছেন বলে ডিএনএর-র দাবি। ভাটনগর বলেন, হাঁ ঝাড়গ্রামে মাওবাদীরা ফের একজোট হতে শুরু করেছে বলে খবর রয়েছে।


মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃত্যুর পর গত ৫-৬ বছর জঙ্গলমহল শান্তই বলা ‌যায়। কিন্তু জঙ্গলমহলে তৃণমূলের রাশ আলগা হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। সেই সু‌যোগে সেখানে মাওবাদীর ফের ঘঁাটি গাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।


সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এর জন্য জেলা নেতৃত্বে বদলও আনা হয়েছে। সংগঠন দুর্বল হওয়ার সু‌যোগ নিয়ে জায়গা নিয়ে নিচ্ছে বিজেপি ও অন্যান্যরা। এখানেই মাওবাদীদের সুবিধে হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতার 'রহস্যমৃত্যু', সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল দেহ


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মতে বেলপাহাড়ি, বিনপুর, ও পুরুলিয়ার বন্দোয়ানে তাদের জমি শক্ত করছে মাওবাদীরা। আগেও ওইসব এলাকায় শক্তিশালী ছিল মাওবাদীরা। আকাশ ও তার সঙ্গীসাথীরা ওইসব এলাকায় ঘোরাফেরা করলেও রাত কাটাচ্ছে না। ফলে পুলিসের নাগালের বাইরেই থেকে ‌যাচ্ছে তারা। গত ১১ জুলাই ঝাড়খণ্ড বাংলা সীমান্তে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খুন হল এক সিআরপিএফ জওয়ান। ফলে মাওবাদীরা ‌যে এলাকায় রয়েছে তা এক প্রকার নিশ্চিত।


মাওবাদীদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশ মণ্ডল। কিষেণজির মৃত্যুর পর তার দলের অন্যান্য আরও নেতা হয় মারা ‌যায় নয়তো আত্মসমর্পণ করে। তার পর থেকে আকাশ নিজেকে পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদীদের রাজ্য সম্পাদক বলে ঘোষণা করে। সবেমিলিয়ে গোয়েন্দাদের এই খবর রাজ্যের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে।