নিজস্ব প্রতিবেদন- দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়ার সময় বিজেপি নেতারা একের পর এক অযাচিত পরামর্শ দিচ্ছিলেন। কেউ বলছিলেন, এক বিশেষ ধরনের পাপড় খেতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যাবে। রাজস্থানের আরেক বিজেপি নেতা দাবি করেছিলেন, কাদায় গড়াগড়ি খেলে, শঙ্খ বাজাতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর এবার উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে গণধর্ষণ কাণ্ডের পর ধর্ষণ নিয়ে একের পর এক স্বঘোষিত বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। আর এই বিশ্লেষণের প্রতিযোগিতায় প্রথম প্রতিযোগী সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মারকণ্ডে কাটজু। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশে কেন ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় ঘটনা ক্রমে বেড়ে চলেছে তা নিজের মতো বিশ্লেষণ করেছেন কাটজু। তাঁর যুক্তি, পুরুষ মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি যৌনতা। তিনি ধর্ষণ নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আরো বলেছেন, দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পরোক্ষভাবে ধর্ষণের মতো ঘটনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। তাঁর যুক্তি, কাজ নেই বলে বহু মানুষ বেকার বসে রয়েছে। সময় মতো বিয়ে করতে পারছে না। যৌনতার সুখ নেই। তাই দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। তিনি অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনে শুরুতেই লিখে দিয়েছেন, ধর্ষণকে সমর্থন কোনওভাবেই করেন না। পরমুহূর্তেই আবার যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ভারতের মতো রক্ষণশীল দেশে পুরুষরা বিয়ে করেই যৌন চাহিদা মিটিয়ে নেন। কিন্তু এখন দেশের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। বেকারত্বের হার বাড়ছে। তাই পাল্লা দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে।


আরও পড়ুন-  হাথরাসের উদ্দেশ্যে রওনা রাহুল-প্রিয়াঙ্কার! এলাকায় ১৪৪ ধারা, ব্যাপক গোলমালের আশঙ্কা


কাটজু দাবি করেছেন, বেকারত্বের হার কমানো গেলে দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনাও কমতে শুরু করবে। হাথরসের কাণ্ডে গোটা দেশ এখন উত্তাল। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির এই বিশ্লেষণ কেউই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেউ কেউ আবার দাবি করে বসেছেন, এমন যুক্তিও পরোক্ষভাবে ধর্ষকদের পক্ষে যাবে।