নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে বাল্য বিবাহের অসুখ যে এখনও কত গভীর তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যোধপুরের একটি ঘটনা। মাত্র তিন বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল পরিবার। অবশেষে ১৪ বছর পর আদালতের নির্দেশে মিলল মুক্তি। সেদিনের শিশু এখন যৌবনের দোরগোড়ায়। ১৭ বছরের ওই কিশোরীর বিয়ে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে যোধপুরের ফ্যামিলি কোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিন আনি দিন খাই পরিবারের সদস্য ওই কিশোরীর ২০০৩ সালে মাত্র তিন বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন বাবা -মা। ১১ বছরের এক নাবালকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। বর্তমানে সে ১৭ বছরের কিশোরী। আর সেদিনের নাবালক এখন ২৫ বছরের যুবক। একটি বেরসরকারি স্কুলে কর্মরত সে। অভিযোগ, ওই কিশোরীর বাবার মৃত্যুর পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও সম্প্রদায়ের তরফে তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে রাজি হয়নি সে ।


স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সারথি ট্রাস্টের দ্বারস্থ হয় ওই কিশোরী। ট্রাস্টের সহযোগিতায় বিয়ে বাতিল ঘোষণার জন্য আদালতের দ্বারস্থ  হয় সে। ট্রাস্টের তরফে যোগাযোগ করা হয় তার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে। প্রথমে অসহযোগিতা করলেও, বোঝানোর পর বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্তে সহমত হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অবশেষে আদালত তিন বছর বয়সের ওই 'বিয়ে'কে বেআইনি বলে ঘোষণা করে নাকচ করে দেয়।


আরও পড়ুন, বিয়ের নেমন্তন্ন রক্ষা করতে অধিবেশনের মধ্যেই গণছুটিতে ১০০ বিধায়ক!


ওই কিশোরী জানিয়েছে, পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় সে। মা ধাপু দেবীও সায় দিয়েছেন মেয়ের ইচ্ছেয়।