থমথমে সবরীমালা, মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছতেই পারলেন না মহিলারা
কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা জানিয়েছেন, সবরীমালার ইস্যু লিঙ্গ সমতার বিষয় নেই। সিপিএম সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে চেন্নিথালা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কোনও পদক্ষেপ করছে না সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার দিনভর বিক্ষোভের পর কেরলের নীলাক্কল, পাম্বা, ইরুমেলি এলাকা এখন থমথমে। দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া নেই বললেই চলে। সবরীমালা মন্দির প্রাঙ্গন চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কেরলে ২৪ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে প্রবীণ তোগাড়িয়ার অন্তররাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ, সবরীমালা সমরক্ষণা সমিতির মতো একাধিক কট্টর হিন্দু সংগঠনগুলি। এই বন্ধের প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে বিজেপির।
আরও পড়ুন- সবরীমালা মন্দিরে মহিলারা ঢুকবে না, সুপ্রিম রায় অবজ্ঞা করে হুঙ্কার বিক্ষোভকারীদের
কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা জানিয়েছেন, সবরীমালার ইস্যু লিঙ্গ সমতার বিষয় নেই। সিপিএম সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে চেন্নিথালা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কোনও পদক্ষেপ করছে না সরকার। কংগ্রেসর মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার করার সাংবিধানিক অধিকার আছে নাগরিকের। যেখানে অধিকাংশ ভক্তদের আবেগ জড়িত। সবরীমালার ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্বেগে রয়েছেন স্থানীয়রা। সুরজেওয়ালার দাবি, সংবিধান বা আইন কোনওটাই লঙ্ঘন করছেন না বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন- সবরীমালা মন্দিরে ঢোকার মুখে ২ মহিলাকে আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা
মঙ্গলবার থেকেই পারদ চড়তে থাকে নীলক্কল বেসক্যাম্পে। আয়াপ্পা দর্শনে যে সব মহিলা পুর্ণ্যার্থী এসেছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমনকি তল্লাসিও চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত কাল মন্দির খোলার সময় উত্তেজনা চরমে ওঠে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া পুলিস বিগ্রেডকে উপেক্ষা করে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটক্কেল ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি, বাস। বেশ কয়েকজন মহিলা ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁরা বাধাপ্রাপ্ত হন। মহিলা সংবাদিকদেরও ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক সুহাসিনী রাজ অভিযোগ করেন, পম্বা ফিরে যেতে তাঁকে হুঁশিয়ারি দেয় বিক্ষোভকারীরা। মন্দিরে প্রবেশে ব্যর্থ হলে, পুলিসের গাড়িতেই কোচি ফিরে যেতে হয় সুহাসিনীকে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মন্দিরে প্রবেশে মহিলাদের কোনওভাবে বাধা দেওয়া হবে না। যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে তাঁদের। যদিও বুধবারের দিনভর ঘটনায় স্পষ্টত বিক্ষোভকারীদের রুখতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।