ওয়েব ডেস্ক: "আমাকে যদি আমার কথা বলতে না দেওয়া হয়, আমি ইস্তফা দেব। নিজের কথা বলতে না পারলে, রাজ্যসভায় থাকার কোন প্রয়োজন আমার নেই", আজ সংসদের উচ্চকক্ষে চলা অধিবেশনে সকল সভ্যদের সামনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে এই 'হুমকি'ই দিয়েছিলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান তথা দলিত নেত্রী মায়াবতী। ১২ ঘন্টাও কাটল না, রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তর প্রদেশের নেত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন রাজ্যসভায় দলিত ইস্যু নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখছিলেন 'বহেনজি'। তাঁর বক্তব্য পেশ করার জন্য তিন মিনিট সময় ধার্য্য করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনি বলার সময় বারবারই ফোড়ন কাটতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদদের। এরপরই রেগে যান উত্তরপ্রেদেশের দলিত নেত্রী মায়াবতী। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে বারেবারে অনুরোধ করেন, "আমাকে বলতে দেওয়া হোক"। ইতিমধ্যেই তিন মিনিট অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় গবেল বাজিয়ে দেন স্পিকার এবং মায়াবতীকে বলেন, "আপনার সময় শেষ, আপনি আর বক্তব্য রাখতে পারবেন না"। ক্ষুব্ধ মায়াবতী তখন চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, "আমাকে যখন বলতেই দেওয়া হচ্ছে না, তাহলে রাজ্যসভায় থাকার কোনও অধিকার আমার নেই। আমি ইস্তফা দেব"। সেইসময় মায়াবতীকে বলতে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন জেডিইউ সাংসদ শরদ যাদব এবং সিপিআই(এম) সাংসদ তথা রাজ্যসভার অন্যতম বিরোধী মুখ সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু কোনও কথাই শোনেননি স্পিকার। এই ঘটনায় রেগে গিয়ে সংসদ কক্ষ ছেড়ে বেড়িয়েও আসেন মায়াবতী। 


এই ঘটনার রেশ চলতে চলতেই রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেন উত্তরপ্রদেশের নেত্রী মায়াবতী। বিএসপি'র সম্পাদক সতীশ মিশ্র রাজ্যসভা থেকে মায়াবতীর পদত্যাগের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন। এই ঘটনায় সরকারের কড়া নিন্দা করে সিপিআই(এম) সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "এই সরকার দলিতদের ওপর হওয়া আক্রমণকে প্রতিহত করার কোনও চেষ্টাই করছে না। দলিত এবং সংখ্যলঘুরা এক ভয়ানক অরাজকতার মধ্যে বাস করছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি এই ঘটনায় দোষী করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই। বিজেপি মন্ত্রীর দাবি, "সংসদকে সুষ্ঠভাবে কাজ পরিচালনা করতে বাধা দিয়েছেন মায়াবতী। উনি চেয়ারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। ওনার অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত"।