নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরোটার ঘটনায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কার্যকরী প্রধানকে শনিবার ডেকে পাঠাল বিদেশ মন্ত্রক। নাগরোটার ঘটনার কড়া নিন্দা করে ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তাঁর হাতে ধরানো হল চিঠি। জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে জইশ-ই-মহম্মদ যেভাবে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা কষেছিল, আফতাব হাসান খানকে দেওয়া চিঠিতে সে বিষয়ে কড়া উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই নিয়ে নভেম্বর মাসেই দু' দফায় পাক হাইকমিশনের কার্যকরী প্রধানকে ডেতকে পাঠাল বিদেশ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে আফতাব হাসান খানকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। পাকিস্তান যাতে অবিলম্বে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করে সেই দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট  বার্তা দেওয়া হয়েছে, দেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখতে যা যা করা দরকার ভারত তাই করবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটায় জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করে দেয় ভারতীয় সেনা।


একটি ট্রাকে করে লুকিয়ে উপত্যকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল ৪ জঙ্গি। হাইওয়ের উপর একটি টোল প্লাজার নিকটে নিরাপত্তা বাহিনী ট্রাক আটকাতেই ভিতর থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। শুরু হয়ে গুলির লড়াই। নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত ৪ জইশ জঙ্গি খতম হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে যে ফোন, রেডিও, ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে, তা থেকে পাকিস্তানের যোগ স্পষ্ট। 


যদিও নিহত ৪ জইশ জঙ্গির সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, জঙ্গিদের কাছ থেকে ১১টি একে-৪৭ রাইফেল, ৩টে পিস্তল ও ২৯টি গ্রেনেডও উদ্ধার হয়েছে। যা দেখে অনুমান, ২৬-১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে বেশ বড়সড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। ভারতীয় সেনার তত্পরতায় ভেস্তে যায় সেই ছক।


আরও পড়ুন, দুদিকে দিলীপ ঘোষ, মাঝখানে শুভেন্দুর নামে পোস্টার শ্যামবাজারে, তীব্র জল্পনা