ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানের নেপথ্যে দুই `রকেট ওম্যান`, চিনে নিন তাঁদের
চন্দ্রযান-২-এর মিশন ডিরেক্টরের পদে আছেন `রকেট ওম্যান` রিতু কারিদহাল শ্রীবাস্তব। প্রজেক্ট ডিরেক্টরের পদে আছেন বনিতা এম।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৫ জুলাই শ্রীহরিকোটায় ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেটে করে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২ স্যাটেলাইট। অভিযানটি সফল হলে চাঁদে যান পাঠানো দেশগুলির তালিকায় চার নম্বরে উঠে আসবে ভারতের নাম। রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেখানে আগে পৌঁছয়নি কোনও দেশ। প্রায় ১,০০০ কোটি টাকার এই অভিযানে মূলে আছেন দুই মহিলা বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান-২-এর মিশন ডিরেক্টরের পদে আছেন 'রকেট ওম্যান' রিতু কারিদহাল শ্রীবাস্তব। প্রজেক্ট ডিরেক্টরের পদে আছেন বনিতা এম। এঁরাই ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানের দুই মূল কান্ডারি।
রিতু কারিদহাল শ্রীবাস্তব
চন্দ্রযান-২-এর নেপথ্যে মূল ব্যক্তিত্ব রিতু কারিদহাল। চন্দ্রযান ছাড়াও ইসরোর মার্স অরবিটার মিশন(মম)-এর ডেপুটি অপারেশন্স ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। লখনউতে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন রিতু। ছোট থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী তিনি। ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতেন রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক রিতু। এর পরে গেট পরীক্ষা দেন তিনি। গেটের ফল ভাল হওয়ায় ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অফ সায়েন্সে পড়ার সুযোগ পান তিনি। সেখানে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মাস্টার ডিগ্রি করেন তিনি। মাস্টার্স-এর পর চাকরির জন্য আবেদন করেন ইসরোতে। পিএইচডি করতে করতেই ডাক পান ইসরোয় পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ-এর জন্য। এর পর ইসরোতে যোগ দেন তিনি। মঙ্গল অভিযানে স্পেসক্রাফটের অটোনমির ক্ষেত্রে তিনিই ছিলেন মূল দায়িত্বে। শুধু তাই নয়। চন্দ্রযান-১ -এর মূল টিমেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন রিতু। চন্দ্রযান-২-এর প্রতিটি কার্যাবলী হবে তাঁর সতর্ক নজরে। ২০০৭-এ এপিজে আবদুল কালামের হাত থেকে ইসরো সেরা নবীন বিজ্ঞানী-র পুরস্কারও পান রিতু। আজ 'রকেট ওম্যান অফ ইন্ডিয়া' নামে পরিচিত তিনি।
বণিতা এম
চন্দ্রযান-২-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর বণিতা এমকে ছোট থেকেই আকর্ষণ করত মহাকাশের রহস্য। তামিলনাড়ুর মেধাবী ছাত্রী বণিতা ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। ২০০৬ সালে তিনি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার 'সেরা মহিলা বিজ্ঞানী'র পুরস্কার পান। চন্দ্রযান-২-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে হার্ডওয়্যারের ডেভলপমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়ে নেতৃত্ব দেবেন বণিতা।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান-২-এর প্রকল্পের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের ৩০% মহিলা। মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের নাম উজ্জ্বল করতে বদ্ধপরিকর এই 'রকেট ওম্যানরা'।