নিজস্ব প্রতিবেদন: মেঘালয়ের খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকের উদ্ধারকাজ ১৭ দিনে পড়ল। শুধুমাত্র খোঁজ মিলেছে তিনটি হেলমেটের। তবে, দু’সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর রবিবার থেকে উদ্ধারকাজের গতি বাড়ানো হচ্ছে জোরকদমে। বিমানে নিয়ে আসা হয়েছে ১০টি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাখাপত্তনম থেকে নৌবাহিনীর একটি দল। ডুবুরিদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জামও নিয়ে আসা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ফোর্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট সন্তোষ কুমার সিং জানালেন, প্রস্তুতি শেষ। এবার চূড়ান্ত উদ্ধারকাজে নামার অপেক্ষা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- এ বছর সবচেয়ে সস্তা পেট্রল-ডিজেল, আরও কমতে পারে দাম


গত ১৩ ডিসেম্বর মেঘালয়ের জয়ন্তিয়া পাহাড়ের দুর্গম সাইপুং এলাকার অবৈধ কয়লা খনির ‘র্যাট সুরঙ্গে’ আটকে পড়েন ১৫ জন শ্রমিক। পাশ্বর্বতী নদী এবং উঁচু এলাকা থেকে জল এসে ঢুকে পড়ে সুরঙ্গে। প্রায় ৩৫০ ফুট গভীর খাদের জল কম-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের দ্বারা নির্গত করতে অক্ষম হন উদ্ধারকারীরা। তারপরও টনক নড়েনি কর্নাদ সাংমার সরকারের। প্রায় দু’সপ্তাহ পর উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প আনতে তত্পর হয় প্রশাসন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কোল ইন্ডিয়া, কির্লোস্কার সংস্থা। উদ্ধারকারীদের সহায়তা করতে ওড়িশা থেকে দমকল কর্মীদের আনা হয়েছে।


আরও পড়ুন- ‘পুলিস নিজেদেরই বাঁচাতে পারছে না, এদের কাছে কী আশা করবে মানুষ’


এনডিআরএফ-র আধিকারিক সন্তোষ কুমার বলেন, ওড়িশার দমকলকর্মীদের ইতিমধ্যে সুরঙ্গের হালহকিকত জানানো হয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কোল ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই সংস্থার সিনিয়র অফিসার জে বোরহা বলেন, আমাদের হাতে ওই খনির কোনও ম্যাপ নেই। এই কারণে উদ্ধারকাজে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।