চার দশক পর অবসর নিল মিগ-২৭, জলকামানে বাহাদুরকে বিদায় জানাল বায়ুসেনা
বায়ুসেনার সূর্যকিরণ, আকাশগঙ্গা টিমের পারফরম্যান্স। জোধপুরে মিগ-২৭-এর বিদায়। অনুষ্ঠানে যোগ নিলেন বায়ুসেনার শীর্ষ স্তরের অফিসাররা। শেষ হয়ে গেল একটি অধ্যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: চার দশকের কর্মজীবন শেষ। বাহাদুরকে বিদায় জানাল ভারতীয় বায়ুসেনা। আজ সকালে জোধপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে শেষবারের মতো আকাশে উড়ল মিগ-টুয়েন্টি সেভেন। তিন দশকের ভারে সে রণক্লান্ত। এসে গেছে নতুনেরা। তাই সময়ের নিয়মে, তাকে বিদায় জানাতেই হল। শুক্রবার সকালে শেষবার ডানা মেলল ৭টি মিগ-২৭। জলকামানে সেলাম,
বায়ুসেনার সূর্যকিরণ, আকাশগঙ্গা টিমের পারফরম্যান্স। জোধপুরে মিগ-২৭-এর বিদায়। অনুষ্ঠানে যোগ নিলেন বায়ুসেনার শীর্ষ স্তরের অফিসাররা। শেষ হয়ে গেল একটি অধ্যায়। ১৯৮৫ সালে বায়ুসেনায় যোগ দেয় রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৭। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে দেশকে জয় এনে দেয় মিগ-২৭। সংসদে হামলার পর ২০০১-০২ সালে অপারেশন পরাক্রমে বড় ভূমিকা নেয় মিগ-২৭। বোমাই হোক বা রকেট, নিখুঁত নিশানার জন্য, গ্রাউন্ড অ্যাটাকে, সে ভারতীয় বায়ু সেনার মেরুদণ্ড বলে পরিচিত ছিল।
আরও পড়ুন- ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া হওয়ায় রাজ্যসভায় বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি
মিনিটে ৪ থেকে ৬ হাজার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ার ক্ষমতা ছিল এই বিমানের। সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ায় তৈরি মিগ-২৭-এর ইঞ্জিন একসময়ে ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। ডানার আকার ইচ্ছেমতো পালটে নেওয়ার সুযোগ থাকায় পাইলটরা স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন। মিগ পরিবারের মিগ-২৩ আগেই বিদায় নিয়েছিল। মিগ-২৭-কে উন্নত করা হয়েছিল। শান্তির সময়ে দেশ-বিদেশে নানা মহড়ায় অংশ নিত সে। বায়ুসেনার কর্মীদের কাছে তার পরিচিতি ছিল বাহাদুর। সাড়ে তিন দশক পর, সেই বাহাদুরকে বিদায় জানাতে গিয়ে পোড়খাওয়া পাইলটদের চোখের কোণও চিকচিক করে উঠল। জোধপুরের মাটিতে লেখা হল আরও এক ইতিহাস।