নিজস্ব প্রতিবেদন— পা—ই ছিল ভরসা। কেউ কেউ কোনওরকম একটা সাইকেল জোগাড় করতে পেরেছিলেন। কোনও কোনও শ্রমিক আবার হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া লরি, ট্রাকের ড্রাইভারকে কিছু টাকা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছিলেন। এরই মধ্যে বহু শ্রমিক পথ দুর্ঘটনার শিকার হন। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান অনেকে। তার পর সরকারের টনক নড়ে। শ্রমিকদের শহর থেকে গ্রামে ফেরানোর জন্য চালু করা হয় ট্রেন। এর পর অভিনেতা সোনু সুদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাসে করে বহু শ্রমিককে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু ভারতের ইতিহাসে কোনওদিন হয়তো সরকার কোনও শ্রমিককে বিমানে করে বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেয়নি। এই প্রথমবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রবাসী শ্রমিকদের একটি বিমানে মুম্বই থেকে রাঁচি পৌঁছে দেওয়া হল। একটি এনজিও—র সাহায্যে ১৭৭ জন প্রবাসী শ্রমিককে বিমানবন্দরে আনা হল। তার পর সেখান থেকে তাঁদের বিমানে তুলে দেওয়া হল। বেঙ্গালুরুর একটি ল স্কুল—এর প্রাক্তন ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা রমন পুরো ব্যাপারটির তদারকি করছিলেন। এই ল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র—ছাত্রীরা কয়েকটি এনজিও—র সাহায্যে মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় আটকে থাকা ১৭৭ জন প্রবাসী শ্রমিককে বিমানে করে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। এই ১৭৭ জন শ্রমিকের বাড়ি রাঁচিতে। লকডাউনের পর থেকেই এই শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছিলেন। কারণ কারও পকেটেই আর কোনও টাকা ছিল না। আধপেটা খেয়ে কাটাতে হচ্ছিল দিন। অবশেষে বাড়ি ফিরতে পেরে তাঁরা খুশি।


আরও পড়ুন— লকডাউনে খদ্দের নেই! যৌনকর্মীদের পেশা বাঁচানোর চেষ্টা চলছে অনলাইনে


প্রিয়াঙ্ক রমন জানিয়েছেন, তাঁরা এমন শ্রমিকদের বিমানে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যাঁদের বাড়ি সড়কপথে যাওয়া মুশকিল। এর পরই ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তার পর থেকে প্রাক্তন ছাত্র—ছাত্রীরা ফান্ড জোগাড় করতে শুরু করেন। তবে প্রাক্তন ছাত্র—ছাত্রীরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কিছুটা সাহায্য করলে আরও অনেক পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো যেত। আন্দামানেও বহু ঝাড়খণ্ডের শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁদেরকে দুটি বিমানে ঘরে ফেরানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই শ্রমিকদের ফেরানোর খরচ বহন করবে ঝাড়খণ্ড সরকার।