নিজস্ব প্রতিবেদন: একটি শিশুর ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গুজরাটের বেশ কয়েকটি জেলা। সবরকাঁথা, মেহসনা, পাটনা, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মানুষজন। হামলা করা হচ্ছে বিহার ও উত্তরপ্রেদেশের হিন্দিভাষী শ্রমিকদের ওপরে। কারণ ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণ বিহারের বাসিন্দা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ ৪ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা আজই


গত সপ্তাহের ২৮ তারিখে সবরকাঁথা জেলায় একটি ১৪ মাসের শিশুর ওপরে পাশবিক অত্যাচার চালায় এক তরুণ। রবীন্দ্র সাহু নামে ও কারখানা শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।   ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেই শুক্রবার থেকে জায়গায় জায়গায় হিন্দিভাষীদের ওপরে হামলা শুরু হয়ে যায়। হামলার শিকার মূলত হিন্দিভাষী শ্রমিক, ছোট দোকানদার। অনেকেই এখন ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন। রাজ্য ডিজি শিবানন্দ ঝা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিহার ও গুজরাটের শ্রমিকরা যে সব শ্রমিকরা রাজ্যের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করছেন সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


এদিক ওই হামালার পেছনে কংগ্রেস নেতা অল্পেস ঠাকুরের সংগঠন ঠাকোর সেনা জড়িত রয়েছে বলে কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। ঠাকুর গোষ্ঠীর সেইসব কংগ্রেস সমর্থকদের প্রতি শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন অল্পেশ। তবে তিনি বেলেছেন হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।


আরও পড়ুন-সাতসকালে ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিপত্তি, হাওড়া-তারকেশ্বর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ


গুজরাটের গান্ধীনগর রেঞ্জের আইজি ময়াঙ্কসিনা ছাবড়া সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, নির্যাতীতা শিশুটি ঠাকোর সম্প্রদায়ের। অভিযুক্ত একজন বিহারি শ্রমিক। ফলে ঠাকোরদের ক্ষোভ শুধুমাত্র বিহারি নয়, তা গিয়ে পড়েছে হিন্দিভাষীদের ওপরে। আহমেদবাবাদে ঠাকোর সম্প্রদায়ের লোকজন রাস্তায় নেমে উত্তরভারতের লোকজনদের ওপরে হামলা করে।