নিজস্ব প্রতিবেদন— পুঁচকে নেপালও ছেড়ে কথা বলছে না। ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে দিল। কালাপানি ও লিপুলেখ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দুদেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। কালাপানিতে ভারতের রাস্তা তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল নেপাল। তাদের দাবি, ওই ভূখণ্ড নেপালের অন্তর্গত। কিন্তু আদতে তা নয়। এর পরও নেপালের রাজনৈতিক মহলে কিছু নেতা ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন। দেশের মানুষকে ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি দিতেও শুরু করেন তাঁরা। এরই মধ্যে কালাপানি ও লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে নেপাল। তার পর থেকেই উত্তেজনা চরমে। নেপাল ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। সত্যিই কি ভারতের মতো পরমাণু শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সামর্থ রয়েছে নেপালের?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রার পথ সুগম করতে কালাপানিতে একটি রাস্তা তৈরি করেছে ভারত। তা নিয়েই নেপালের যত আপত্তি। তাদের দাবি, কালাপানি ও লেপুলেখ তাদের দেশের অংশ। ভারত জোর করে সেখানে রাস্তা তৈরি করেছে। যদিও এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তিনি এমনও বলেছিলেন, নেপাল কোনও এক তৃতীয় দেশের প্ররোচনায় পা দিয়ে এমন দাবি করছে। সেই দেশই নেপালকে ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করছে। তবে ভারতীয় সেনাপ্রধানের এমন দাবি নস্যাত্ করেছেন নেপালের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল। তিনি নেপালের একটি পত্রিকাকে সাক্ষাতকারে বলেছেন, গোর্খাদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। তৃতীয় কোনও দেশের প্ররোচনায় নেপাল পা দিয়েছে, এমন অভিযোগ করে তিনি গোর্খাদের আঘাত করেছেন। প্রয়োজন হলে নেপালের সেনা যুদ্ধ করবে।


আরও পড়ুন— পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন তদন্তকারীরা


এর পরই ভারতীয় সেনার গোর্খা রেজিমেন্ট—এর জওয়ানদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বলেন, ভারতের জন্য অনেক গোর্খা প্রাণপাত করেছে। তাঁদের ভাবাবেগেও আঘাত করেছেন জেনারেল নারাভানে। গোর্খা রেজিমেন্টের সেনারা আর স্বজাতির সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। গোর্খা রেজিমেন্ট ব্রিটিশ আমল থেকেই ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ রেজিমেন্ট। কার্গিল যুদ্ধের সময়ও গোর্খা রেজিমেন্টের হুঙ্কার পাক সেনাদের কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আর সেই গোর্খা রেজিমেন্টের সেনাদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেপালের মন্ত্রী।