দুর্গতদের বিস্কুট ছুড়ে বিতর্কে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দাদা
সোমবার কর্নাটকের হাসান জেলার এক ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করেন জনস্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রী রিভান্না। ভিডিওয় দেখা যায়, রিভান্না আমলাদের কাছ থেকে বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে ছুড়ে তা বিলি করেন দুর্গতদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্নাটকের বন্যাদুর্গতদের বিস্কুটের প্যাকেট ‘ছুড়ে’ বিতর্কের মুখে সে রাজ্যেরই মুখ্যমন্ত্রীর দাদা এইচডি রিভান্না। যদিও দাদার পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তাঁর সাফাই, “জায়গা কম থাকায় তাঁকে ওভাবে ত্রাণ বিতরন করতে হয়।” কিন্তু ততক্ষণে রিভান্নার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁর এমন ‘আচরণে’ সমালোচনার ঝড় বয়েছে নেটিজেন মহল্লায়।
আরও পড়ুন- যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে কেন আইনি পদক্ষেপ করা হবে না, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
সোমবার কর্নাটকের হাসান জেলার এক ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করেন পূর্ত দফতরের মন্ত্রী রিভান্না। ভিডিওয় দেখা যায়, রিভান্না আমলাদের কাছ থেকে বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে ছুড়ে তা বিলি করেন দুর্গতদের। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়। দিনভর নিউজ চ্যানেলে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা সুরেশ কুমার বলেন, “মাননীয় মন্ত্রীমশাই, দুর্গতদের দিকে বিস্কুট ছোড়া কোন জনকল্যাণের কাজ নয়। এটি অসভ্যতার পরিচয় এবং অহঙ্কার প্রকাশ করে মাত্র।”
আরও পড়ুন- পিছু হটলেন ইমরান! মোদীর দাবিকেই মান্যতা দিল পাকিস্তান
দাদার এ হেন ‘আচরণে’ ড্যামেজ কন্ট্রলে নামেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। তিনি জানিয়েছেন, রিভান্নার এই কাজ কোনও দাম্ভিকতার পরিচয় নয়। তাঁর দাবি, “টেলিভিশন চ্যানেলের ভিডিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিস্কুট বিলি করার সময় সেখানে প্রচুর মানুষ ছিল। জায়গা কম থাকায় তাঁকে ওভাবে বিতরণ করতে হয়।” রিভান্নাও জানিয়েছেন, তাঁর এই ভিডিওকে অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ত্রাণ বিলির সময় এমন কোনও আচরণ প্রকাশ পায়নি বলে দাবি করেন রিভান্না।
আরও পড়ুন- কেরলের বন্যা 'জাতীয় বিপর্যয়' নয়, 'গুরুতর দুর্যোগ' ঘোষণা কেন্দ্রের
মন্ত্রীর ছেলে প্রজ্বল রিভান্নার কথায়, “আমার বাবা অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। দুর্গতদের সাহায্যের জন্য তিনি সবসময় এগিয়ে আসেন। এ দিনও সেটাই করেছেন।” উল্লেখ্য, কেরলের মতো তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকের একাধিক এলাকা ভেসে গিয়েছে বন্যায়। কর্নাটকের কোদাগুর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। কোদাগু, মালনাদ জেলায় ১৫ দিনে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই সব এলাকায় যুদ্ধাকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা।