বিপদে পড়ে ফোন, দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করল বন্ধুর পাঠানো লোকজনই
বন্ধু না আসলেও সে পাঠিয়ে দেয় তার একদল বন্ধুকে। সেই দলে ছিল ১১ জন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্ধুর কাছে সাহায্য চাওয়াই কাল হল। তার পাঠানো লোকজনের লালসার শিকার হতে হল দুই নাবালিকাকে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা জেলায়।
গত ১৬ অগাস্ট ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা রেল স্টেশন এলাকায় হিরহি রেল সেতুর কাছে বাইক খারাপ হয়ে যায় দুই নাবালিকার। কোনওভাবেই তা ঠিক হচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই এক নাবালিকা তার এক বন্ধুকে ফোন করে গোটা ঘটনা বলে সাহায্য চায়। সেই সাহায্যকারীরাই শেষপর্যন্ত ঘাতকের রূপ ধারন করে।
আরও পড়ুন-বাল্যবিবাহ নিয়ে প্রহসন! বিয়ে আটকালো সাহসিনীই, বিতর্কে পড়লেন স্বেচ্ছাসেবী-পুলিস-বিডিও কর্তারা
ওই নাবালিকার ফোন পেয়ে বন্ধু না আসলেও সে পাঠিয়ে দেয় তার একদল বন্ধুকে। সেই দলে ছিল ১১ জন। ওই ১১ জন এসে প্রথমে নাবালিকার বাইকচালককে বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। তাদের ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর এক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করা হয়। এমনটাই অভিযোগ করেছে দুই নাবালিকা।
ঘটনার খবর পেয়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছে জেলা পুলিস। জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার আশিষ কুমার মাহালি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বয়স ১৮-২৮ বছরের মধ্যে। গত ১৬ অগাস্ট তাদের এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বাইকে চড়ে হিরহি হারা টোলিতে ফিরছিল নির্যাতিতারা। পথে হিরহি রেল সেতুর কাছে তাদের ধর্ষণ করে ওইসব অভিযুক্তরা। দুই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে দুই নাবালিকার ফোনগুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন-কলকাতায় স্পিড লিমিট ভাঙলে এবার যেতে হতে পারে জেলে
ঘটনার তদন্তে নেমেছে এসডিপিও অরবিন্দ কুমার ভার্মার নেতৃত্বে পুলিসের একটি দল। তদন্তের জন্য ওই বিশেষ দলটি গঠন করেছেন জেলা পুলিস সুপার প্রিয়দর্শিনী অলোক।