করুণানিধির পর ‘থালাপতি’ হলেন পুত্র স্টালিনই
১৯৬৯ সাল থেকে ডিএমকের প্রেসিডেন্ট পদ সামলেছেন এম করুণানিধি। গত ৭ অগাস্ট করুণানিধির মৃত্যুর পর ‘থালাপতি’ কে হবেন, এ নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলাইনারের স্থলাভিষিক্ত হলেন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র মুথুভেল করুণানিধি স্টালিন। ডিএমকের প্রেসিডেন্ট পদে প্রধান দাবিদারি ছিলেন তিনিই। পথে কাঁটা হিসাবে দাদা আলাগিরি থাকলেও রবিবার দলের অভ্যন্তরীণ ভোটাভুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্টালিন জয়লাভ করেন। চেন্নাইয়ে দলের প্রধান কার্যালয় আন্না আরিভালায়মে একমাত্র স্টালিনের মনোনয়নপত্রই জমা পড়েছিল।
আরও পড়ুন- ভোটের ঢাকে কাঠি, মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে দিনভর বৈঠকে মোদী-শাহ
১৯৬৯ সাল থেকে ডিএমকের প্রেসিডেন্ট পদ সামলেছেন এম করুণানিধি। গত ৭ অগাস্ট করুণানিধির মৃত্যুর পর ‘থালাপতি’ কে হবেন, এ নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়। করুণানিধির সর্বক্ষণে সঙ্গী ছোটো ছেলে স্টালিন এই পদের অন্যতম দাবিদার হলেও, ডিএমকে সভাপতি হওয়ার আশা ছাড়েননি বড় ছেলে আলাগারিও। দলের ‘বিক্ষুব্ধ নেতা’ হিসাবে পরিচিত আলাগিরিকে ২০১৪ সালে ডিএমকে থেকে বিতাড়িত করা হয়। করুণানিধির জীবদ্দশাতেই দুই ভাইয়ের মধ্যে ‘ঠান্ডা লড়াই’ সে ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পরই আলাগিরি জানিয়ে দেন, “কলাইনার এখন আর নেই। তাই দলকে রক্ষা করা দরকার।” তাঁর দাবি, ডিএমকের অধিকাংশ নেতা আলাগিরির পাশে রয়েছেন। যদিও ডিএমকের অন্দরের খবর, আলাগিরি এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন ডিএমকে নেতারা। ১৪ অগস্ট এক বৈঠকে নতুন দলপতি নির্বাচনের আবেদন জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন- রাহুলের কাছে আরএসএসের আমন্ত্রণপত্র আসেনি, দাবি কংগ্রেসের
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং চেন্নাইয়ের দু’বারের মেয়র স্টালিনের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছে বাবার হাত ধরেই। এর আগে দলের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। এই পদে আসীন হচ্ছেন প্রবীণ নেতা এবং প্রধান সচিব দুরাইমুরুগান। দলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন স্টালিন। সামনেই দু’দুটি উপনির্বাচন। আলাগিরির দূর্গ মাদুরাই এবং করুণানিধির কেন্দ্র তিরুভাপুরমের উপনির্বাচনে স্টালিন কতটা সাফল্য ঘরে তুলতে পারেন সে দিকে তাকিয়ে ডিএমকে নেতারা। ২০১৪ লোকসভায় ভরাডুবি হয়েছে ডেএমকে। ৩৯টির মধ্যে ৩৭টি আসন পেয়েছে জয়ললিতার দল। এমনকি জয়ললিতার কেন্দ্রে আরকে নগর উপনির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকতে হয়েছে স্টালিনদের।