ওয়েব ডেস্ক: অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন নীতীশ কুমার। অভিনন্দনের বন্যায় লালুপ্রসাদও। তবে আড়ালেই থেকে যাচ্ছেন বিহার ভোটে সব সমীকরণ উল্টে দেওয়ার আরেক কাণ্ডারি। তিনি প্রশান্ত কিশোর। ঝকঝকে যে তরুণের হাইটেক স্ট্র্যাটেজির জোরে কিছুদিন আগেই দিল্লির মসনদ দখল করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এবার বিহারে বিজেপি-র মুখ থুবড়ে পড়ার পিছনেও কাজ করেছে সেই প্রশান্তরই মগজাস্ত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাতিয়ারটা খুঁজে পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীই। অব্যর্থ সেই হাতিয়ারের নাম প্রশান্ত কিশোর। একসময় রাষ্ট্রসংঘে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতার কাজ করতেন। ২০১১ দেশে ফেরার পর মোটা অঙ্কের পারশ্রমিক দিয়ে প্রশান্তের ওপরই নিজের প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন মোদী।


২০১২ গুজরাট নির্বাচন থেকে মোদীর জন্য ঝাপিয়েছিল প্রশান্তের স্ট্র্যাটেজি টিম। প্রশান্তের বেছে দেওয়া গুড গভর্ন্যান্সের স্লোগানে ভর করেই সেবার গুজরাটে হ্যাটট্রিক সেরে ফেলেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর থেকে মোদীর লোকসভা ভোটের প্রচার-কৌশল থেকে শুরু করে সব কিছুর পিছনেই ছিল এই যুবকের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক।


আচ্ছে দিন, চায়ে পে চর্চা, ঘর ঘর মোদী, অব কি বার মোদী সরকার। টিম-প্রশান্তের তৈরি একের পর এক স্লোগানে ভর করেই শুরু হয়ে যায় দেশ জোড়া মোদী-ঝড়।
অনায়াসে দিল্লি দখল করেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। ছন্দ পতনটা হয় তারপরই। অমিত শাহ সহ বেশ কয়েকজন বিজেপির শীর্ষনেতার সঙ্গে মতান্তরে মোদীর সঙ্গ ছাড়েন প্রশান্ত।
পড়ে পাওয়া হাতিয়ার তুলে নিতে দেরি করেননি নীতিশ কুমার। পেশাদার প্রশান্তই হয়ে যান বিহার-যুদ্ধে নীতিশের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট।


সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার তো ছিলই। প্রশান্তের স্ট্র্যাটেজি মেনে বিহারে নামে সাড়ে সাত হাজার জিপিএস লাগানো সাইকেল। নীতীশের বার্তা পৌছে যায় বিহারের প্রতিটি বাড়িতে। গান বাঁধা হয় --ফিরসে এক বাহার হো/ বিহার মে নীতীশ কুমার হো।


প্রশান্তের সেই স্ট্র্যাটেজি যে কতটা সফল বিহার ভোটের ফলই তা বলে দিচ্ছে। হাসছেন লালু, হাসছেন নীতীশ। আড়াল থেকে হাসছেন প্রশান্ত কিশোরও। সামনের বছর বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কে জানে তখন আবার কোথায় ডাক পড়বে এই নেপথ্য নায়কের?