বারাণসী: প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে জোর দিলেন নরেন্দ্র মোদী। বললেন, উন্নয়নের দৌড়ে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি পিছিয়ে থাকলে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক বিকাশ সম্ভব হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে শুক্রবারই প্রথম পা রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনার আওতায় বারাণসীর জয়াপুর গ্রামের দায়িত্ব নিলেন তিনি। বড়লালপুরে একটি বাণিজ্য সহায়তা কেন্দ্রের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে তাঁর গলায় শোনা গেল পূর্ব উত্তরপ্রদেশ সহ পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।


স্বাধীনতার পর থেকেই অবহেলিত হয়ে এসেছে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। পাঞ্জাব যে সুবিধা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তা পায়নি। ছোটনাগপুর মালভূমি ও সংলগ্ন এলাকায় খনিজ পদার্থের বিশাল ভাণ্ডার থাকলেও মাসুল সমীকরণ নীতির কারণে এই অঞ্চলের রাজ্যগুলির কোনও লাভ হয়নি।


সরকারি ভর্তুকির সুবিধা নিয়ে পশ্চিমাঞ্চলে বেড়ে উঠেছে শিল্প। সেচ ও অন্যান্য সুবিধার অভাবে সবুজ বিপ্লবের ছোঁয়া থেকেও বঞ্চিত থেকে গেছে পূর্বাঞ্চল। এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও ব্যক্তির এক হাত সবল অন্য হাত দুর্বল হলে যা হয়, দেশের দু-প্রান্তে উন্নয়নের বৈষম্যের ছবিটাও ঠিক তাই।  পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুগ্ন ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য ফেরানোর ওপরও জোর দেন মোদী। সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। দেশের পূর্বপ্রান্তের কোনও রাজ্যেই ক্ষমতায় নেই বিজেপি।


এইসব রাজ্যগুলিতে আঞ্চলিক দলের দাপট দীর্ঘদিনের। এবং সব দলই অনুন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের বঞ্চনাকেই দায়ী করে। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হতে এখন আবার লালু-নীতীশ-মুলায়মরা পুনর্মিলনের কথাও ভাবছেন। এই পরিস্থিতিতে পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিজেপির ভিত্তি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।