নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরুটা করেছিলেন তাঁর অর্থমন্ত্রী, এবার জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তিতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে আসরে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। মঙ্গলবার মোদী বলেন, কোনও ব্যক্তি বা বিশেষ নীতি অথবা সংবিধান কংগ্রেসের কাছে মূল্যহীন। এখানে শুধুমাত্র গুরুত্ব পায় একটি পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৫ জুন'১৯৭৫। দেশ জুড়ে জারি হয় জরুরি অবস্থা। টানা ২১ মাস ধরে জরুরি অবস্থা চলার পর ২১ মার্চ'১৯৭৭-এ তা প্রত্যাহার করা হয়। সরকারিভাবে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশিকায় তত্কালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ স্বাক্ষর করলেও, ইন্দিরা গান্ধীর সিদ্ধান্তেই তা জারি হয়। আর এই ঘটনার বর্ষপূর্তিকেই কংগ্রেসের প্রতি আক্রমণ শানানোর জন্য বেছে নেয় পদ্ম শিবির। চলতি বছরের ২৫ জুন থেকে (সোমবার) 'কালা দিবস' পালন শুরু করেছে বিজেপি। উল্লেখ্য, সোমবার ইন্দিরা গান্ধীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন অরুণ জেটলি। এদিন সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হলেন নমো।


জরুরি অবস্থার সময় গোটা দেশটাই একটি কয়েদখানায় পরিণত হয়েছিল বলে দাবি করেন মোদী। এই ২১ মাসে মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি গণমাধ্যমের উপর রীতিমতো ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। কারাবন্দি হয়েছিলেন একাধিক সাংবাদিক ও বিরোধী নেতানেত্রী। জরুরি অবস্থার সেই কালো দিনগুলি মনে করিয়ে দিতে এক বাঙালি গায়কের কাহিনীও উল্লেখ করেছেন মোদী। নমোর কথায়, সে সময় কিশোর কুমার কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলন। আর সেই 'দোষে' এই মহান শিল্পীকে রেডিও ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান থেকে বয়কট করা হয়েছিল। আরও পড়ুন- ইন্দিরাকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা জেটলির


কংগ্রেস সংস্কৃতিকে দূষে মোদী এদিন বলেন, "ইতিহাসে যখনই কংগ্রেসের এই বিশেষ পরিবার ক্ষমতা হারানোর ভয় পেয়েছে, তখনই তারা সবরকম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। ওরা এখন বলছে, দেশ ভয় ও অসহিষ্ণুতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে...এটা একটা বিরাট মিথ্যা"। কিন্তু, আজকের যুব প্রজন্ম কংগ্রেস শাসনের এই কালা দিন দেখেনি। বরং এখন তাঁরা স্বাধীনতা উপভোগ করেন। ফলে, তাঁরা বোঝেন না কংগ্রেস কতটা ভয়ঙ্কর। তাই যুব প্রজন্মকে মোদী কংগ্রেস সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন।