নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৪ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিজেপি। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ পেয়েছিল ৩০০-র বেশি আসন। কিন্তু তার পরও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছিল মোদী সরকারকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কারণ, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না এনডিএ। ফলে তিন তালাক রোধ, নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের মতো বিল পাস করাতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভায় বিল পাস করানো গেলেও রাজ্যসভায় বিরোধীদের বাধায় তা আটকে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: ৩০ মে সন্ধ্যায় ৭টায় দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রিত্বের শপথ নরেন্দ্র মোদীর


এবার ২০১৪ সালের চেয়ে ভালো ফল করেছে বিজেপি ও এনডিএ। নরেন্দ্র মোদীর দল একাই পেয়েছে ৩০৩টি আসন। এনডিএ-র মোট আসন সংখ্যা ৩৫৪। কিন্তু তারপরও রাজ্যসভার কাঁটা কিন্তু এখনও গলা থেকে নামল না বিজেপির।


রাজ্যসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৫। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে বিজেপির প্রয়োজন ১২৩টি আসন। কিন্তু এনডিএ-র কাছে রয়েছে মাত্র ১০২টি আসন। বিরোধীদের দখলে রয়েছে বাকি আসনগুলি। ফলে একাধিক বিল পাসে এখনও রাজ্যসভায় হোঁচট খেতে হবে মোদী সরকারকে।


আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে ইমরানের ফোন, সন্ত্রাস দমনের কড়া বার্তা মোদীর


যদিও এই পরিস্থিতি বদলে যাবে আগামী বছরের নভেম্বরের মধ্যে। কারণ, এর মধ্যে একাধিক রাজ্যে রাজ্যসভার আসন ফাঁকা হবে। যে সব রাজ্যে আসন ফাঁকা হবে তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, অসম, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা। এই রাজ্যগুলি থেকে আসন বাড়বে বিজেপির খাতায়।


তবে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগড়ে কিছু আসন খোয়াতে হবে। তার উপর মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের ফলের উপর আসন সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বেশ কিছুটা নির্ভর করছে। অঙ্কের হিসেব বলছে, ২০২০ সালের নভেম্বরের মধ্যে এনডিএ-র খাতায় আরও ১৮টি আসন বাড়তে পারে। এর মধ্যে ১০টি আসন উত্তরপ্রদেশ থেকে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার শেষযাত্রায় মরদেহ কাঁধে হাঁটলেন স্মৃতি, দেখুন ভিডিয়ো


এর পর অন্ধ্রপ্রদেশ জগন্মোহন রেড্ডি, ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক, তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও-এর সমর্থন আদায় করে নিতে পারলে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।