নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংসে শনিবার প্রথমবার বিদেশসফরে মালদ্বীপ যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে মালদ্বীপ সফরের পর আগামীকাল শ্রীলঙ্কা রওনা দেবেন মোদী।কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলবর্তী দেশগুলির সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার দিকে নজর দিতে চাইছেন মোদী। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করতে চাইছে মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিকে পাশে চাইছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ''আমার বাবার চাকরি ফিরিয়ে দিন'', প্রধানমন্ত্রীকে ৩৭ নম্বর চিঠি লিখে আর্জি ক্লাস এইটের খুদের



শনিবার মালদ্বীপ যাত্রার আগে কেরলের গুরুভায়ুর মন্দিরে পূজো দিতে যান মোদী। নৌবাহিনীর বিশেষ হেলিক্পটারে কোচি থেকে শ্রীকৃষ্ণ কলেজের মাঠে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সকাল দশটা নাগাদ মন্দিরে তিনি মন্দিরে প্রবেশ করেন।  এর পর কেরলে বিজেপির রাজ্য কমিটির আয়োজিত এক সভায় পৌছান তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণের পর এটিই তাঁর প্রথম দলীয় সভা। তাই 


রাজনৈতিক দিক থেকেও এই সভা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সভা শেষ করে তার পর মালদ্বীপ উড়ে যাবেন মোদী। শনিবার নিজের ওয়েবসাইটে প্রাক সফর বিবৃতিতে তিনি লেখেন, "রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহ এবং রাষ্ট্রপতি মৈথ্রিপালা সিরিসেনার আমন্ত্রণেই আমার এই সফর।" ভারত-মালদ্বীপ, দুই রাষ্ট্রের সুসম্পর্ক ফুটে উঠবে এই সফরে। মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের অনেক ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দিকটিও তুলে ধরেন মোদী। এই সফরের মাধ্যমে সেই সম্পর্কের দিকেই নজর দিতে চাইছেন তিনি। 


আরও পড়ুন-  কংগ্রেসে বদল চাই, রাহুলকে সরিয়ে সভাপতির পদ গ্রহণের প্রস্তাব দিলেন দলের এই নেতা


শুক্রবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে মোদী লেখেন, "এই সফর প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।" শ্রীলঙ্কার সন্ত্রাসবাদে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পূর্ণ সমর্থন পাবে শ্রীলঙ্কা।" তিনি বলেন, "গত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।" দুই দেশের বন্ধুত্বের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।  প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নভেম্বরে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন মোদী। সে বছরই ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসেন রাষ্ট্রপতি সোলিহ। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীর দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণের সময় হাজির ছিলেন শ্রীলঙ্কান রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা।