হরিয়ানা (৯০টি আসন)-বিজেপি জয়ী- ৪৭টি, আইএনএলডি-২০টি, কংগ্রেস-১৫, হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেস-২টি, অন্যান্য-১টি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক-হরিয়ানায় মোদী ম্যাজিক। জাঠ-রাজ্যে এই প্রথম ক্ষমতায় এল বিজেপি। একার শক্তিতে হরিয়ানা দখলের পর এখন মুখ্যমন্ত্রী খুঁজতে ব্যস্ত দলের নেতারা। শাসকদলের জায়গা থেকে কংগ্রেস নেমে গেছে তিন নম্বরে। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল ওমপ্রকাশ চৌটালার আইএনএলডি।   


লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানায় দশটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জিতেছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটেও সেই ধারা অব্যাহত।


৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪৭টি আসন পেয়েছে বিজেপি।
২০টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আইএনএলডি। ১৫টি আসন পেয়ে
শাসকের গদি থেকে তিন নম্বরে নেমে গেছে কংগ্রেস। হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেস পেয়েছে ২টি আসন। ৬টি আসন পেয়েছে
অন্যান্যরা।


২০০৯-এ হরিয়ানা বিধানসভায় ৪টি আসন পেয়েছিল বিজেপি।
৩২টি আসন পায় আইএনএলডি। ৪০টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।
হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেস পেয়েছিল ৬টি আসন। ৮টি আসন পায় অন্যান্যরা।



ভোটের আগে হরিয়ানায় কোনও দলের সঙ্গে জোট করেনি বিজেপি।  উল্টে, পুরনো বন্ধু আইএনএলডি নেতা ওমপ্রকাশ চৌটালার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয় তারা। রাজ্যে প্রায় এক ডজন সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।



২০০৫ থেকে হরিয়ানায় ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মোদী। রবার্ট বঢ়রার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির
অভিযোগে আক্রমণ করেছিলেন দশ জনপথকে। ফল বেরনোর পর দেখা যাচ্ছে মোদীতেই আস্থা রেখেছেন হরিয়ানার ভোটাররা। মুখ্যমন্ত্রিত্বের হ্যাটট্রিক মিস করেছেন ভূপিন্দর সিং হুডা।



দুর্নীতির দায় যাতে কাঁধে নিতে না হয় সে জন্য আইএনএলডি-র সঙ্গে জোট করেননি মোদী। একা লড়াই করে অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে চেয়েছিলেন জনহিত কংগ্রেস, লোকহিত পার্টি, জনচেতনা পার্টির মতো ছোট দলগুলিকে। ভোটের ফল বলে দিচ্ছে সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস আশা করলেও ভাগ হয়নি প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভোট।


ভোটের আগে হরিয়ানায় দলের কোনও নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরেনি বিজেপি। তবে, দৌড়ে রয়েছেন ক্যাপ্টেন অভিমন্যু,অনিল ভিজ সহ একাধিক নেতা। সুষমা স্বরাজের নামও ভাবা হচ্ছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়াই এখন বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।