নিজস্ব প্রতিবেদন: কাজ শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। তখন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। উদ্বোধন হচ্ছে ২০১৮ সালে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাঝখানে কেটে গিয়েছে ১৬ বছর। বাজপেয়ী জমানা শেষ হওয়ার পর দশ বছর ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ। তার পর এনডিএ ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আজ, মঙ্গলবার চালু হচ্ছে ভারতের দীর্ঘতম বগিবিল সেতুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কথা রাখল আদালত, জানুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে রাম মন্দির মামলার শুনানি


যার আমলে কাজ শুরু হয়েছিল, সেই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিবসেই ৪.৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল ও সড়ক সেতুর উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী।


ব্রহ্মপুত্রের উপর তৈরি হওয়া এই সেতুর কাজ ২০০২ সালে শুরু হলেও শিলান্যাস হয়েছিল আরও পাঁচ বছর আগে। ২২ জানুয়ারি, ১৯৯৭। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া।


আরও পড়ুন: ঋণ মুকুব সত্ত্বেও ২ কৃষকের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল কমল নাথ সরকারের রাজ্যে 


প্রায় ৫৯০০ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি এই সেতু আগামী ১২০ বছর স্বাভাবিকভাবেই কাজ করবে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের মুখ্য ইঞ্জিনিয়র মহিন্দর সিং। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশি পরিকাঠামোয় এই প্রথম ভারতে এমন একটি সেতু তৈরি হল।


এই সেতু উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বদলে দিতে চলেছে। এর আগে অসম ও অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ হত তিনসুকিয়া দিয়ে। এর জন্য ১৭০ কিলোমিটার রাস্তা পার করতে হত। এবার সেই দূরত্বই হয়ে গেল পাঁচ কিলোমিটারের কম।


আরও পড়ুন: ১২ থেকে ১৮ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে অভিন্ন জিএসটি হার: অরুণ জেটলি


এই সেতুটি দোতলা। নিচের তলায় রেললাইন। উপরে সড়ক পথ। ওই রেলপথে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রথম ট্রেন চলার কথা। এতদিন দিল্লি থেকে ডিব্রুগড় পৌঁছতে ৩৭ ঘণ্টা সময় লাগত। এবার সেই পথই পার করতে সময় লাগবে ৩৪ ঘণ্টা। ফলে তিন ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে যাত্রীদের।