নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। এমন পরিস্থিতে জমিয়ত উলমা-এ-হিন্দের জাতীয় সভাপতি মৌলানা সৈয়দ আরশাদ মদনির সঙ্গে বৈঠক করলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুপক্ষের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির ঝান্ডেওয়ালানে আরএসএসের দফতর  কেশব কুঞ্জে বৈঠক হয়েছে আরএসএস ও জমিয়ত উলমা-এ-হিন্দের। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কথা হয়েছে বলে খবর। রাষ্ট্রীয় জনমঞ্চের উদ্যোগেই আরএসএসের দফতরে দিয়েছিলেন মদনি। সূত্রের খবর, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর দেশে হিন্দু-মুসলিম সম্ভাব বজায় রাখা নিয়ে কথা হয়েছে দুই সংগঠনের। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মদনি।            
  


ভাগবত-মদনির বৈঠককে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে দুই সংগঠনই। আর অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক রামলালকে দুই সংগঠনের মধ্যে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আলোচনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে আরএসএস ও জমিয়ত উলমা-এ-হিন্দ। সূত্রের খবর, মদনির সঙ্গে একমঞ্চে আগামী দিনে দেখা যাবে ভাগবতকে। 


প্রসঙ্গত, মুসলিমদের নিয়ে কাজ করে জমিয়ত উলমা এ হিন্দ। অন্যদিকে মূলত হিন্দুদের সংগঠন হিসেবে দেখা হয় আরএসএস-কে। যদিও তারা ধর্মীয় নয়, নিজেদের সামাজিক সংগঠন হিসেবে দাবি করে। সংখ্যালঘুদের নিয়েও সংগঠন রয়েছে আরএসএসের। দুই সম্প্রদায়ের সংগঠনের মধ্যে আলোচনার রাস্তা প্রশস্ত হলে ব্যাপক বদল আসবে বলে মনে করেন অনেকেই। কয়েক দিন আগে দেশে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় সংগঠন দেওবন্দ দারুল উলুম গিয়েছিলেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। 


আরও পড়ুন- রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করছিল, মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়: মমতা