নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে দাক্ষিণাত্যে সবরলীমালা যে হিন্দুত্বের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবতের বার্তায়। এদিন প্রয়াগরাজে ভিএইচপি-র ধর্ম সংসদে অংশ নিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান। সেখানেই ভাগবত বলেন, ''সবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দেশের হিন্দু সমাজ  আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে''। আয়াপ্পাকে শুধু কেরলবাসীই নন, দেশের সমগ্র হিন্দুরা পুজো করেন বলে দাবি করেন মোহন ভাগবত।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরলে সবরীমালায় আয়াপ্পার মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসা সেই রীতিতে ছেদ টানতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেয় শীর্ষ আদালত। যদিও ওই নির্দেশের পর আয়াপ্পাভক্তদের প্রতিবাদে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কেরল। মহিলাদের মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিসের নিরাপত্তায় কয়েকজন মহিলাই আয়াপ্পার দর্শন করেছেন। লোকসভা ভোটের আগে সবরীমালা মন্দিরকে হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত ঘোষণা করেছেন, কেরলের হিন্দুদের সঙ্গে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি। প্রয়াগরাজে ভিএইচপি-র ধর্ম সংসদে অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এদিন মোহন ভাগবতের মুখে এল সবরীমালা। ভাগবতের কথায়, ''সবরীমালায় চারটি মন্দির রয়েছে। আয়াপ্পা ছাড়া বাকি সব মন্দিরেই প্রবেশ করতে পারেন মহিলারা। তাড়াহুড়োতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভগবানের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সবরীমালা ঘোরার জায়গা নয়, এটা ধর্মীয়স্থল''।     


আদালতের নির্দেশের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র দেখছেন ভাগবত। তাঁর দাবি, হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। নানা ভাবে দেশের হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করতে ষড়যন্ত্র রচনা করা হচ্ছে। হিন্দু সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে কেউ আঘাত করতে পারবে না। মহিলাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে না। এটা নিতান্তই সামাজিক বিষয়। রাজনৈতিক স্বার্থে ভুল বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।



আরও পড়ুন- হাসপাতালের নিরাপত্তায় এবার সিভিক ভলান্টিয়ার, জানাল স্বাস্থ্য দফতর


রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে উত্তরে রাম মন্দির ও দক্ষিণে সবরীমালাকে নিয়ে হিন্দুত্বের পালে হাওয়া দিতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবার।