নিজস্ব প্রতিবেদন: এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে রবিবার শেষ হল সব লড়াই। প্রয়াত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। ব্যক্তিজীবনে আড়ম্বরহীনতার জন্য গোটা দেশে অনুকরণীয় ছিলেন এই রাজনীতিবিদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবারই পর্রীকরের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানান চিকিত্সকরা। রবিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। সব চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিত্সকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিফলে গেল সব চেষ্টা। মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করতে থাকেন সাধারণ মানুষ থেকে বিজেপি নেতারা। 


 



লক্ষ্যের প্রতি নিজের সমর্পণ ও ব্যক্তিজীবনের আড়ম্বরহীনতার জন্য পরিচিত ছিলেন মনোহর পর্রীকর। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হলেও দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী আবাসে থাকেননি তিনি। বাড়ি থেকে বিধানসভায় যাতায়াত করতেন স্কুটারে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উলটো পথে হেঁটে নিজের জীবনযাত্রা নিয়ে কখনো প্রচার করেননি তিনি। সব সময় থাকতেন প্রচারের আড়ালে। তাই গোয়ায় নিজের দল তো বটেই, বিরোধীদের মধ্যেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। 


গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর অনাড়ম্বর জীবযাত্রার ভক্ত ছিলেন হাজারো মানুষ। এমনকী গোয়ার রাস্তার পাশে নিরাপত্তার ধার না ধেরে তাঁকে চা খেতেও দেখেছেন অনেকে। 


চার বার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হলেও পর্রীকরের বিরুদ্ধে কখনো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। সেজন্যই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাঁকে গোয়া থেকে দিল্লি তলব করেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেও নিজের স্পর্ধার পরিচয় রাখেন পর্রীকর। উরি হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয় তাঁরই জমানায়। 


প্রয়াত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর


রাজনীতি ও সরকারে বিভিন্ন গুরুভার সামলালেও পর্রীকরের পছন্দ ছিল সাধারণ পোশাক। আম আদমির মতো প্যান্ট-শার্ট পরেই দেখা যেত তাঁকে। বড় কোনও বৈঠক না থাকলে কোট-প্যান্টের ঝামেলায় যেতেন না তিনি। ছেলের বিয়েতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাফ হাতা শার্ট, প্যান্ট আর চটিতে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তিনি। 


কঠোর প্রশাসক হিসাবে পরিচিতি থাকলেও ব্যক্তিজীবনে পর্রীকর ছিলেন অত্যন্ত মানবিক একজন ব্যক্তি। গোয়ার প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রীর মৃত্যুতে চোখের জলে ভাসতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কঠিন সময়েও পর্রীকরের পাশে ছিলেন প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী মাতনহি সালদন্হা। তাঁর প্রয়ানে নিজেকে সামলাতে পারেননি তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী।